তৃণমূলের পর এই বিলে সমর্থনে পরোক্ষ ইঙ্গিত দিয়েছে কংগ্রেসও। সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। আসন্ন অধিবেশনে জিএসটি সহ ২৫ টি বিল পাস করাতে চায় শাসক দল।
প্রায় দু'বছরের ব্যর্থতার পর এবার জিএসটি জট কাটাতে মরিয়া বিজেপি। তাই সোমবার বাদল অধিবেশন শুরুর একদিন আগেই বাড়তি উদ্যোগী খোদ প্রধানমন্ত্রী।
রবিবার সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘দেশের স্বার্থে পণ্য ও পরিষেবা কর বিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনও সরকার কৃতিত্ব পাবে সেটা ইস্যু নয়। বাদল অধিবেশনে জিএসটির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ হবে। আশা করছি সব বিষয়ে অর্থবহ আলোচনা হবে। আমরা একইসঙ্গে নাগরিক ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করি। জাতীয় স্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখা উচিত ৷’
advertisement
কাশ্মীরের সাম্প্রতিক অশান্ত পরিস্থিতি, অরুণাচলে সুপ্রিম কোর্টের রাষ্ট্রপতি শাসন খারিজের নির্দেশ সহ একাধিক ইস্যুতে শাসক দলকে কোণঠাসা করতে মরিয়া বিরোধী দলগুলি। তার আঁচ পেয়েই পাল্টা কৌশলী শাসক দল।
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমার বৈঠক শেষে বলেন , ‘GST নিয়ে খুব সন্তোষজনক আলোচনা হয়েছে ৷ সব রাজনৈতিক দলই সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে ৷’
কংগ্রেসও প্রকাশ্যে জানিয়েছে, মানুষের স্বার্থে আনা যে কোনও বিলে তাদের সমর্থন রয়েছে। জিএসটি বিলে আগেই সমর্থন জানিয়েছিল তৃণমূল। তবে বাদল অধিবেশনে রাজ্যগুলির আর্থিক বোঝা, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের মতো বিষয়েও আলোচনা চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
অবশেষে কি কাটবে জিএসটি জট? এই প্রশ্ন নিয়েই সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন।