পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, 'বিজেপি বদলার নয় বদলের রাজনীতি করে৷ ত্রিপুরার ভাই বোনদের ভরসা দিচ্ছি বিজেপি সরকার আপনাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। সকাল বেলাতেই ভোট দিয়ে আসুন৷'
আরও পডুন: বাম-কংগ্রেস জোট ক্ষমতায় আসলে কে হবেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী?
মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গও উঠে আসে তাঁর কথায়৷ 'আনারস হোক বা সবজি- এখন বিদেশে রফতানি করছে। ডবল ইঞ্জিন সরকার মধ্যবিত্ত, আদিবাসী, জনজাতি, যুবকদের সরকার। আমরা সকলের জন্যে পেনশন ব্যবস্থা চালু করেছি। যারা ক্ষুদ্র শিল্পে আছেন আমরা তাদের প্রকল্পে সাহায্য করছি। এই সরকার গরিব মানুষের সরকার। ব্যাঙ্ক থেকে তাদের ঋণের ব্যবস্থা করেছি। আজ এদের জন্য ব্যাঙ্কের দরজা খোলা। সমস্ত পেশার মানুষের জন্য সামাজিক ভাতা বাড়ানো হয়েছে।'
advertisement
আরও পড়ুন: মাত্র কয়েক সেকেন্ডের খেল! মহিলার দুরন্ত হাতসাফাই দেখে চোখ কপালে উঠবে আপনার
দেশের উন্নতির খতিয়ানও উঠে আসে তাঁর বক্তৃতায়৷ তিনি জানান, 'আজ গোটা দেশে যুবদের প্রথম পছন্দ বিজেপি। ত্রিপুরা ট্রিপল আইটি, আইন বিশ্ববিদ্যালয়,ফরেন্সিক কলেজ, ডেন্টাল হাসপাতাল এই ডবল ইঞ্জিন সরকার দিয়েছে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম এত কাজ হয়েছে। ত্রিপুরাতে পর্যটন বিকাশের কাজ এগোচ্ছে। রোপওয়ে হবে মাতাবাড়ি রেল স্টেশন থেকে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির অবধি। মন্দির ঘিরে আরও দর্শনীয় স্থান হবে।' তাঁর কটাক্ষ বাম-কংগ্রেস সরকারকে, 'বাম-কংগ্রেস নিজেদের স্বার্থের জন্য সব কাজ করছে। কেরলে দেখছেন কী করছে? গতকালই নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে।'
ভোট প্রচারের শেষ অধ্যায় শুরু। কিন্তু, প্রচারের এই শেষ লপ্তেও কোনও খুঁত রাখতে চাইছে না পদ্মশিবির। গত শনিবারই ত্রিপুরায় পরপর ২টি সভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মাঝে বাদ মাত্র একদিন। সোমবারই ফের ত্রিপুরায় ভোটপ্রচার করতে আসেন প্রধানমন্ত্রী। প্রচারের মঞ্চ থেকে সে রাজ্যের বাম-কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে আরও একবার তীব্র আক্রমণ শানাতে দেখা গেল তাঁকে।