কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সামাজিক মাধ্যম জুড়ে ছেয়ে যায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে শোকবার্তা। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির মাতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। নিজের সামাজিক মাধ্যমে এক শোক বার্তায় তিনি লিখেন,"যশস্বী প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র ভাই মোদিজীর মা শ্রীমতী হীরাবেন মোদি ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে পরমেশ্বরের রাতুলচরণে ঠাঁই নিয়েছেন। আমি এই রত্নগর্ভা মায়ের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।" উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত মাতা হীরাবেন মোদি গত জুন মাসেই ১০০ বছরে পা রেখেছিলেন।
advertisement
গান্ধিনগরে মা হীরাবেন মোদির শেষযাত্রায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন সকালে সরাসরি দিল্লি থেকে আমেদাবাদ পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। আমেদাবাদ থেকে গান্ধিনগরে নিজের ভাই পঙ্কজ মোদীর বাড়িতে পৌঁছন তিনি। সেখানে গিয়েই মায়ের শেষ যাত্রায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। কাঁধে করে মায়ের মরদেহ বহন করেন তিনি। মায়ের শেষকৃত্যে যোগ দিতে সাত সকালেই দিল্লি থেকে আমেদাবাদ ছুটে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ সফরের কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির। কলকাতায় গিয়ে বাংলার জন্য ৭৮০০ কোটি টাকারও বেশি অঙ্কের বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু ভোরে প্রধানমন্ত্রীর মাতৃবিয়োগের কারণে সেই কর্মসূচিতে বদল হয়। সবার আশঙ্কা ছিল প্রধানমন্ত্রী হয়ত এই অনুষ্ঠানে যোগদান করা থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন। কিন্তু নিজের মাতৃ বিয়োগের দিনেও দেশবাসীর জন্য কর্মে অবিচল থাকেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি।
আমেদাবাদ থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই রেল প্রকল্প উদ্বোধন ও জাতীয় গঙ্গা কাউন্সিলের বৈঠকে দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই দেশবাসীর সেবায় দৃঢ় মানসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা সামাজিক মাধ্যমে আরও একটি পোস্ট করেন। কলকাতায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এর প্রধানমন্ত্রী দ্বারা ভার্চুয়ালি উদ্বোধনের কিছু ছবি পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেন, "কর্তব্য সর্বপ্রথম।"