রাজধানী দিল্লিতে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত বুধবার রাজধানীতে নতুন করে ৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এক জনের মৃত্যুও হয়েছে। তবে সংক্রমণের হার এখনও পর্যন্ত ০.১৮ শতাংশ। এই মূহুর্তে রাজধানীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ জন। তাঁদের মধ্যে ১৯ জন বাড়িতে এবং ৩ জন হাসপাতালে রয়েছেন। নয়াদিল্লিতে এই মুহূর্তে কনটেইমেন্ট জোন রয়েছে তিনটি।
advertisement
আরও পড়ুন: গরমের ছুটি ১০ দিন! পুজোয় কত? ২০২৩ সালে রাজ্যে কবে কবে স্কুলে ছুটি? দেখুন সম্পূর্ণ তালিকা
চিন, আমেরিকা-সহ একাধিক দেশে করোনার বাড়বাড়ন্ত ঘিরে ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ জারি হয়েছে দেশে।বিমানবন্দরগুলিতে নজরদারি বেড়েছে। বর্ষশেষে উৎসবে, পার্টি, জমায়েত ঘিরেই জারি হয়েছে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বাস, ট্রেন, অফিস, বাজার, যে সমস্ত জায়গায় ভিড় বেশি হওয়ার সম্ভাবনা, সেখানে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যাঁরা এখনও বুস্টার ডোজ নেননি, তাঁদের দ্রুত প্রিকশনারি ডোজ নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে ফের সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকেই আবহাওয়া বদল বাংলায়, ২৫ ডিসেম্বরের জন্য বড় পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
শোনা যাচ্ছে, এই শীতেই কোভিডের তিনটি ঢেউ আছড়ে পড়তে চলেছে চিনে। তবে বিশেষজ্ঞদের চিন্তা আরও বাড়ছে, কারণ, চিন সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করছে না৷ আমেরিকান বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল লুসি জানিয়েছেন, আগামী দিনগুলিতে চিনে ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়্যান্টগুলি আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ ফলে চিনকে নতুন করে সতর্কতা বাড়াতে হবে৷ আরও সংক্রামক, আরও মারাত্মক হতে পারে এই স্ট্রেনগুলি।
ভ্যাকসিন, চিকিৎসা এবং অন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য চিনকে প্রস্তুত হতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তা-ও যথেষ্ট কি না, এখনই তা আন্দাজ করা যাচ্ছে না ৷ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, চিনে এখনও পুরোপুরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়নি। সবার উপযুক্ত টিকাকরণও হয়নি। ২০২০ সালের শেষের দিকে ভারতে ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্টের অভিজ্ঞতা মনে পড়ে যাচ্ছে আবারও।
রাজীব চক্রবর্তী