সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে ৩০৭৬ কোটি টাকা জমা পড়েছে৷ করোনা অতিমারির মোকাবিলার জন্য তহবিল তৈরি করতে পিএম কেয়ার্স ফান্ড খোলা হয়৷ ৩০৭৬ কোটির মধ্যে দেশের মধ্যে থেকেই ৩০৭৫.৮৫ কোটি টাকা অনুদান এসেছে৷ আর বিদেশ থেকে এসেছে ৩৯.৬৭ লক্ষ টাকা৷
ওই অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, পিএম কেয়ার্স ফান্ডে প্রাথমিক ভাবে ২.২৫ লক্ষ টাকার তহবিল ছিল৷ এর পাশাপাশি ফান্ডে থাকা মোট তহবিলের উপরে সুদ হিসেবে আরও ৩৫ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে৷ ওই অডিট স্টেটমেন্ট পিএম কেয়ার্স ফান্ড ওয়েবসাইটে আপলোড করা হলেও কারা কারা এই ফান্ডে অর্থ জমা দিয়েছেন, সেই নামের তালিকা জনসমক্ষে আনেনি সরকার৷ আর তা নিয়ে সরকারকে নিশানা করেছে কংগ্রেস৷
advertisement
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম প্রশ্ন তুলেছেন, যাঁরা বিপুল পরিমাণ অর্থ দান করছেন, সেই মহানুভব দাতাদের নাম কেন প্রকাশ্যে আনছে না কেন্দ্র? তিনি আরও প্রশ্ন, অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে যেখানে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের উপরে অর্থ দান করলেই দাতাদের নাম প্রকাশ্যে আনা বাধ্যতামূলক, সেখানে সরকারের
ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হবে না কেন?
খোঁচা দিয়ে চিদম্বরম ট্যুইটারে আরও লিখেছেন, 'গ্রহীতার নাম সবাই জানে, ট্রাস্টের নাম সবাই জানে, কিন্তু দাতাদের নাম প্রকাশ্যে আনতে এত ভয় কীসের?' পিএম কেয়ার্স ফান্ডের তহবিল পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে৷ এই ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ আর ট্রাস্টের সদস্য হিসেবে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা৷