নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৮তম জন্মদিন উপলক্ষে প্রতি বছর ২৩ জানুয়ারি পরাক্রম দিবস হিসাবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। কিন্তু নেতাজি কন্যার একটাই দাবি গত আট দশক ধরে সুদূর জাপানে নেতাজির যে চিতাভস্ম রয়েছে তা দেশে ফিরিয়ে আনা হোক।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তির দ্রুত আধুনিকীকরণে কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা উত্তর পূর্ব রেলওয়ের
advertisement
২০১৬ সালে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে নথি প্রকাশ করে জানান হয়, ১৯৪৫ সালের অগাস্ট মাসেই বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান নেতাজি। কিন্তু জনতার ক্ষোভের মুখে পড়তে হতে পারে এই আশঙ্কায় বেশ কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন সরকার এই তথ্য গোপনই করে রাখে। ফলে নেতাজি জীবিত না মৃত তা নিয়েও ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: সাজা ঘোষণার পর দুটি ছোট্ট জিনিস চাইল সঞ্জয়, কী ইচ্ছে তার? অবাক জেল কর্তারাও
নেতাজি তিনি জীবিত না মৃত তা নিয়ে এতটাই ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয় যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসীমা রাও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে মরণোত্তর ভারতরত্ন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেও তা ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হন।
এরপরেই ১৯৯৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে পদ্মনাম্বিয়ার বিবরণীতে লেখেন, ” ১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্টে তাইওয়ানের তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার বিপক্ষে তেমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় নেই।”
জাপানের রেনকোজি মন্দির। ছবি- সমাজমাধ্যম
কিন্তু, তারপরেও কেটে গিয়েছে বহু দশক। এই প্রসঙ্গে খানিক আক্ষেপের সুরেই অনিতা জানান, “কয়েক দশক ধরে নেতাজির চিতাভস্ম দেশে আনার ক্ষেত্রে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কখনও ইতস্তত করা হয়েছে আবার কখনও সটান ‘না’ বলে দেওয়া। রেনকোজি মন্দিরের পুরোহিত এবং জাপান সরকার রাজি তাঁর অস্থি দেশের মাটিতে ফিরিয়ে দেওয়া জন্য।”
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বহু বিপ্লবী নিজের দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। সুভাষচন্দ্রকেও নিজের মাতৃভূমি স্বাধীন করার জন্য ছাড়তে হয়েছিল দেশের মাটি। সেই প্রেক্ষিতেই সুভাষ কন্যা বলেন, “বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীকে ভারতের স্বাধীনতার জন্য দেশের বাইরে চলে যেতে হয়। ব্রিটিশদের থেকে নিজের মাতৃভূমিকে উদ্ধার করতে তাঁরা সেখান থেকেই লড়াই চালিয়েছিলেন। অনেকে দেশে ফিরে এলেও। অনেকেই আর আসতে পারেননি। বিদেশের মাটিতেই তাঁদের অস্থিভস্ম রয়ে যায়। তেমনই নেতাজির অস্থিভস্মও জাপানের রেনকোজি মন্দিরে রয়েছে।” তা ফেরত আনার আর্জি জানালেন নেতাজি কন্যা অনিতা বসু পাফ।