নেটওয়ার্ক ১৮ গ্রুপ এডিটর-ইন-চিফ রাহুল জোশিকে সাক্ষাৎকারে বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী জানালেন, ” ২০২৯ সালে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি একটা নতুন মোড় নিয়েছিল। আপনার নিশ্চয়ই মনে থাকবে, ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচন নরেন্দ্র মোদির নামে লড়া হয়েছিল। আমার এখনও মনে আছে, আমাদের এলাকা থেকে শিবসেনা সাংসদকে জয়ী করতে আমি প্রতিটা ঘরে-ঘরে গিয়েছিলাম, গিয়েছিলাম রেসিডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোশিয়েশন-এর মিটিং-এ, মানুষদের এটাই বলতাম, মোদিজি-কে ভোট দিন, এটি মোদিজি’র নির্বাচন, মোদিজি-কেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করুন। শিব সেন আসাংসদরা ভোট জিতল মোডিজি-র নামে। তারা এই বিষয়টি নিজেরাও জানেন। ২০২৯ বিধানসভা নির্বাচনেও বারবার বলা হয়েছিল দেবেন্দ্র ফড়নবিস মুখ্যমন্ত্রী হবেন। এমনকি অনেক মঞ্চ জনসভায়, যেখানে উদ্ধব ঠাকরে জি-ও উপস্থিত ছিলেন, বলা হয়েছিল দেবেন্দ্র ফড়নবিসকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে।”
advertisement
পীযূষ গোয়েল বলেন, উদ্ধব ঠাকরে আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, মোদিজি এবং ফড়নবিসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এটি আমাদের জোট ছিল। জোট সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পায়। নিজের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা, ছেলেকে প্রতিষ্ঠিত করার ইচ্ছায়, লোভে তিনি বালাসাহেব ঠাকরের প্রতিটি আদর্শ ত্যাগ করলেন, যা শিবসেনা সমর্থন করেছিল। তিনি হিন্দুত্বর বলি দিয়েছেন। বালাসাহেব ঠাকরের বিখ্যাত উক্তি ছিল, ‘আমি আমার দল ভেঙে দেব, কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাব না।’ উদ্ধব ঠাকরে এই আদর্শ পরিত্যাগ করেছেন।”