কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বলি হয়েছেন ১৩ জন পাইলট, অথচ কোভিড যোদ্ধার স্বীকৃতি এবং ডাক্তার-নার্সদের মতো সুযোগ সুবিধে পান না তাঁরা। এবার তাই কোভিড যোদ্ধার স্বীকৃতি পেতে আদালতের দ্বারস্থ হলেন পাইলটেরা।
মঙ্গলবার ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান পাইলটসের তরফে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ। দাবি, প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধাদর স্বীকৃতি দিতে হবে দেশের বিমান চালকদের। চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীরা কোভিড সংক্রান্ত যে সুযোগ সুবিধা পান, সেগুলি দিতে হবে তাঁদেরও।
advertisement
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কোভিড পর্বের সূচনা থেকে এখনও পর্যন্ত ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জন বিমান চালকের।তার মধ্যে শুধুমাত্র গত ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। অর্থাৎ করোনার দ্বিতীয় ঢেউই পাইলটদের প্রাণ কেড়েছে বেশি। পাইলটদের সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, করোনাতে কোনও পাইলট মারা গেলে তাঁদের সাহায্যের কোনও নিয়ম এখনও পর্যন্ত নেই। কোনও বিমাও নেই। পাইলটরা দেশের জন্য কাজ করছেন নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই। অথচ, তার কোনও স্বীকৃতি নেই।
সংগঠনের এক নেতার কথায়, "সারা দেশে ভ্যাকসিন দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা আমাদের। অথচ, আমাদের জন্যই ভ্যাকসিন নেই।" সংগঠনে সরকারি বেসরকারি এয়ারলাইন্স মিলিয়ে সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি সদস্য রয়েছেন। তার মধ্যে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র এয়ার ইন্ডিয়াতেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় হাজার দুয়েক কর্মী। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৬০০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
বাধ্য হয়েই সরকারের কাছ থেকে নিরাপত্তা চাইছেন তাঁরা।. এদিন ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান পাইলটসের তরফে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। দাবি, প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধাদর স্বীকৃতি দিতে হবে দেশের বিমান চালকদের। চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীরা কোভিড সংক্রান্ত যে সুযোগ সুবিধা পান, সেগুলি দিতে হবে তাঁদেরও। পাশাপাশি, ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার, কোভিডে মৃত্যু হলে পরিবারের জন্য আজীবনের আর্থিক সুরক্ষা এসব দাবিও জানানো হয়েছে আদালতে।
SHALINI DATTA