উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর জেলায় এক ২১ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী মহিলাকে ধাওয়া করে অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগ। এমন ভয়ঙ্কর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যে। ওই মহিলা তাঁর মামার বাড়ি থেকে হেঁটে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁকে ধাওয়া করে আততায়ীরা। মামাবাড়ি থেকে তাঁর বাড়ির দূরত্ব ছিল মাত্র এক কিলোমিটার। ওইটুকু পথ পেরোতে গিয়েও মহাবিপদে পড়লেন তিনি।
advertisement
পুলিশের তরফে জানানো হয়, মোটরসাইকেল আরোহী হঠাৎ ওই মহিলার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। তার পর জোর করে বাইকে বসিয়ে নিয়ে যায় ওই মহিলাকে। এর পর নির্জন স্থানে ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। মহিলার পরিবার গণধর্ষণের অভিযোগ করেছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, নির্জন রাস্তা ধরে সেই মহিলা আতঙ্কে দৌড়চ্ছেন, আর বারবার পিছনে তাকাচ্ছেন। তিন-চারটি বাইকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা তাঁকে ধাওয়া করছে। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও ওই মহিলা বাড়ি না ফিরলে তাঁর পরিবার খোঁজ শুরু করে। এর পর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ঝোপে তাঁকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন- রাস্তার একদল কুকুরের আক্রমণে ক্ষতবিক্ষত মহিলার মৃত্যু! কোর্টের রায়ের মাঝে প্রকাশ্যে ঘটনা
ঘটনার পর পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে দুই অভিযুক্ত—অঙ্কুর ভার্মা ও হর্ষিত পান্ডেকে গ্রেফতার করে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জখম হওয়ায় তাদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশাল পান্ডে জানান, “মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে এবং বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”
মহিলা ও তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্ত—অঙ্কুর ভার্মা ও হর্ষিত পান্ডেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে, পুলিশের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ দায়ের করেছে মহিলার পরিবার। তাঁদের দাবি, পুলিশ ফাঁড়ির সামনে যে ঝোঁপে নির্যাতিতাকে পাওয়া যায়, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি বিকল ছিল।
ওই এলাকায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, এসপি এবং বিচারকের সরকারি বাসভবন রয়েছে। এমন এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা কী করে বিকল থাকে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ওই মহিলার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। আপাতত তিনি হাসপাতালে ভর্তি।