সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ড্রাগ রেগুলেটরের কাছে একটি আবেদনপত্র দিয়ে এ দেশে ভ্যাকসিন বিক্রির জন্য আমদানি এবং বিতরণের অনুমতি চেয়েছে এই সংস্থা। এছাড়াও, নিউ ড্রাগস অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল রুলস, ২০১৯-এর বিশেষ নিয়ম অনুযায়ী দেশবাসীর ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, “ফাইজার ইন্ডিয়া, ৪ ডিসেম্বর ডিসিজিআই-এর কাছে একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছে, যাতে স্পষ্ট কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।”
advertisement
সংবাদসংস্থা পিটিআই এ দিন ট্যুইট করে, “ভারতে Pfizer-BioNTech-এর তৈরি mRNA ভ্যাকসিন BNT162b2 আমদানি এবং বিপনণের অনুমতি চেয়ে আবেদন পত্র জমা দিয়েছে ফাইজার সংস্থা, সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে ৷ ’’
গত বুধবার, প্রথম দেশ হিসেবে, ফাইজার-বায়োএনটেক-র তৈরি ভ্যাকসিন অস্থায়ী ভাবে ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছিল ব্রিটেন। ব্রিটিশ রেগুলেটরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই ভ্যাকসিন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকানোর ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ কার্যকরী এবং পুরোপুরি নিরাপদ।
এছাড়াও, গত শুক্রবার, বাহরিন দুই ডোজের এই ভ্যাকসিন দেশে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। ভারত সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজন -৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। সে কারণে ভারতের মতো দেশে, ছোট ছোট শহরে এবং গ্রামে সঠিক সংরক্ষণ প্রক্রিয়া মেনে চলা যথেষ্ট কঠিন।
ফাইজার সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংস্থা ভারত সরকারের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। ফলে এ দেশে ভ্যাকসিন সহজে উপলব্ধ হবে, প্রয়োজন মতো।
Antara Dey