ইপিএফ অর্থাৎ এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার কমে হতে চলেছে ৮.৬৫ শতাংশ ৷ এতদিন এতদিন ইপিএফে সুদের হার ছিল ৮.৮ শতাংশ ৷ এর ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হতে চলেছেন প্রায় চার কোটি চাকুরিজীবী ৷
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সুদের হার কমানোর পিছনে কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি- সুদের হার ৮.৮ রাখলে ৩৮৩ কোটি ভারতবাসী ক্ষতির মুখে পড়তেন ৷ তাই ইপিএফ-এ সুদের হারে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত অর্থমন্ত্রকের ৷
advertisement
ইপিএফও অর্থাৎ এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষে আয় হয়েছে প্রায় ৩৯,০৮৪ কোটি টাকা ৷ ৮.৮ শতাংশ সুদ দিয়ে ইপিএফও ৩৮৩ কোটি টাকার ঘাটতিতে ভুগছে ৷ সেখানে সুদ কমিয়ে ৮.৭ করা হলে সরকারের ঘরে ৬৯.৩৪ টাকা উদ্বৃত্ত থাকত ৷
বহুদিন ধরেই সুদের হার কমানোর জন্য শ্রমমন্ত্রককে চাপ দিচ্ছিল অর্থমন্ত্রক ৷ শ্রমমন্ত্রক প্রথমে অরাজি হলেও অবশেষে অর্থমন্ত্রকের চাপে ইপিএফে সুদের হার কমাতে সম্মতি দিল ৷ গত সেপ্টেম্বরেই স্বল্প সঞ্চয়ে অক্টোবর-ডিসেম্বর-এ তিনমাসের সুদের হার ০.১ শতাংশ কমায় কেন্দ্র।
সুদের হার কমে যাওয়ায় ইপিএফও-এর হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবর্ষে তাদের আয় দাঁড়াবে ৩৯ হাজার কোটি টাকা ৷
সুদের হার কমে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ শ্রমজীবি ও চাকুরিজীবীরা ৷ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতে, ইপিএফ-এ সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত শ্রমজীবী মানুষের উপর আঘাত ৷
EPF-এ সুদ কমানো কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ‘EPF-এর টাকা কেন্দ্র বাজেটের অংশ হিসেবে দেখায় ৷ এটা রীতিমত বেআইনি ৷ শ্রমিক ও কর্মীদের উপর গভীর প্রভাব পড়বে ৷’