১৯৩০ সালের ১২ মার্চ গান্ধীজির ডান্ডি অভিযান শুরু হয়েছিল। শান্তিপূর্ণ এই পদযাত্রাও সেই দিন থেকেই সুরু করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। তবে এই প্রসঙ্গে একটি কথা উল্লেখ না করলেই নয়। ডান্ডি পদযাত্রার শেষে মহাত্মা গান্ধী এবং তাঁ অনুচরেরা ব্রিটিশ সরকারের লবণ আইন অমান্য করেছিলেন। কিন্তু এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা কোনও রকম আইন উল্লঙ্ঘণ করবেন না। যাতে আইনি পথে সুষ্ঠু ভাবে সব সমস্যার সমাধান হয়, সেটা দেখাই ডান্ডি পদযাত্রা ২-এর একমাত্র উদ্দেশ্য। এছাড়া ২৩-২৪ মার্চ পদযাত্রার শেষে রায়পুরে একটি শান্তি সম্মেলনের আয়োজনও করা হয়েছে। যাতে পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারী সদস্যেরা নিজেদের মনের কথা প্রকাশ্যে আনতে পারেন।
advertisement
বর্তমানে মধ্যপ্রদেশে সরকার এবং মাওবাদী বিবাদ একটি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বিগত ২০ বছরে এই সংঘর্ষে ১২ হাজারেরও উপর মানুষের মৃত্যু হয়েছে, এঁদের মধ্যে প্রায় হাজারখানেক সাধারণ মানুষ, আন্দোলনের সঙ্গে যাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। কত মানুষ গৃহহীন হয়েছেন, তার কোনও ইয়ত্তা নেই। সঠিক পরিসংখ্যানের লক্ষ্যে পীড়িতদের একটি রেজিস্টার তৈরি করার প্রয়াসও চলছে। এর জন্য আলাদা করে একটি মোবাইল নম্বর রাখা হয়েছে। পীড়িতরা চাইলে 7477288333 নম্বরে কল করে নিজেদের দুর্দশার কথা ভাগ করে নিতে পারেন।
মাওবাদী সমস্যা বিশ্বদরবারেও নতুন কিছু নয়। কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। বাকি পড়ে রয়েছে কেবল ভারত আর ফিলিপাইন্স। ফিলিপাইন্সের সরকার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু এই দেশে এখনও পর্যন্ত এরকম কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ছত্তিসগড়ে অবশ্য কংগ্রেস এই ঘোষণা করেছে যে ক্ষমতায় এলে তারা সেখানে নকশাল আন্দোলনে ইতি টানার জন্য আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। কিন্তু বৃহত্তর ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত বিষয়টি উপেক্ষিত রয়ে গিয়েছে। তাই বিবদমান দুই পক্ষকেই অনুরোধ করা হচ্ছে যে তাঁরা যেন পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পথে সমাধানসূত্র খুঁজে নেন। বিশদে জানার জন্য কল করতে পারেন এই দুই নম্বরের যে কোনও একটায়- 8602008333/9811066749।
Written By: Anirban Chaudhury