আইএইচডি-র রিপোর্ট বলছে, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, অশিক্ষা এবং শারীরিক সমস্যার জন্য ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য হয়েছেন অনেকে। সেই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, দিল্লির বিভিন্ন রাস্তায় এমন মানুষদের ভিক্ষাবৃত্তি করতে দেখা গেছে যাঁরা করোনা মহামারীর সময় কাজ হারিয়েছেন। সেই রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কুড়ি হাজারের বেশি সংখ্যক ভিখারি অর্থাৎ মোট ভিখারিদের 65% ২০০ টাকারও কম রোজকার করেন প্রতিদিন। অন্যদিকে 23% ভিখারি প্রতিদিন 200 থেকে 500 টাকার মধ্যে উপার্জন করে। মাত্র 12 শতাংশ ভিখারির রোজের উপার্জন 500 টাকার বেশি।
advertisement
আইএইচটি রিপোর্টে যে বিষয়গুলির উল্লেখ করা রয়েছে তা হলো-
ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন যাঁরা তাঁদের মধ্যে 50 শতাংশ মানুষের মাথার উপরে ছাদ নেই। অর্থাৎ শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষায় মাথা গোঁজার কোন ঠাই নেই তাঁদের।
দিল্লির রাস্তায় ভিক্ষাবৃত্তি করা মানুষদের 45 শতাংশ ঝুপড়িতে থাকতে বাধ্য হন।
করোনা মহামারীর জন্য কাজ হারিয়ে ভিক্ষা করতে বাধ্য হওয়া মানুষদের সংখ্যাটা উল্লেখযোগ্য। তাঁদের মধ্যে অনেকেই অবশ্য ছোটখাটো কাজ করেন। কিন্তু হাতে যা টাকা আসে তা দিয়ে সংসার চলে না। ফলে বাড়তি উপার্জনের জন্য তারা ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করছেন।
কুড়ি শতাংশ ভিখারি এমন রয়েছেন যাঁরা এই পেশায় আসার আগে দিনমজুর, ফ্যাক্টরি শ্রমিক, পরিচারক বা পরিচারিকা, কাগজ কুড়ানী হিসেবে কাজ করতেন।
ভিখারিদের মধ্যে অনেকেই দিল্লির রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করেন।
যে সব মানুষেরা কম উপার্জনের কাজ করতেন তারাই এখন কাজ হারিয়ে রাস্তার ভিক্ষাবৃত্তি করতে বাধ্য হয়েছে।