তখন অরুণ জেটলি ছিলেন অর্থমন্ত্রী। মোদির আদর্শ সাংসদ গ্রাম যোজনার আওতায় গুজরাতের ভদোদরার কারনালি গ্রামটি দত্তক নিয়েছিলেন। এর আগে কারনালি গ্রামের কোনও উন্নয়নই হয়নি। জেটলি দত্তক নেওয়ার পরে কারনালি গ্রাম হয়ে ওঠে আধুনিক। আশপাশের পিপিয়া, ভাদিয়া, বাগলিপুরা গ্রামগুলিও আদর্শ গ্রাম যোজনায় উন্নয়নের আলো দেখেছে। অরুণ জেটলির প্রয়াণে গ্রামগুলোর চোখে জল।
advertisement
কারনালি ত্রিবেণী সংগম থেকে চান্দোদ ত্রিবেণী সংগম পর্যন্ত ওড়সান নদীর উপরে তৈরি হয় সেতু। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছিল সেতু তৈরি। সেতু তৈরির কাজ শেষ হয় ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। অরুণ জেটলি উদ্বোধন করেছিলেন আইএস পুলকার। চান্দোদ থেকে কারনালির দূরত্ব ছিল পঞ্চাশ কিলোমিটার। যে জায়গা থেকে সেতুটি শুরু হয়, সেখান থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে কারনালি গ্রাম। তাই এই সেতু তৈরি হওয়ার পরে গ্রামের যাতায়াতের সমস্যাও ঘোচে।
আদর্শ গ্রাম যোজনার আওতায় রাস্তা, স্কুল, হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। কারনালি গ্রামে পানীয় জলের সমস্যার সমাধান করতে অরুণ জেটলি তৈরি করেছিলেন জলের ট্যাঙ্ক। কারনালির নর্মদা নদীর তীরে সোমনাথ ঘাটটিকে নতুন করে সংস্কার করা হয়েছিল জেটলিরই উদ্যোগে। সোমনাথ ঘাটে প্রথম পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছিলেন তিনি।
কারনালি, পিপিয়া, ভাদিয়া, বাগলিপুরের মত ছোট গ্রামগুলির নাম একসময় কেউ শোনেইনি। অরুণ জেটলি গ্রামের দত্তক নেওয়ার পর ভালভাবে বাঁচতে শিখেছেন গ্রামের বাসিন্দারা। অরুণ জেটলির কথা বারবার মনে পড়ছে গ্রামগুলোর।