পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মীয় জানিয়েছেন . ‘লকডাউন যখন শেষ হবে তখন লকার থেকে ওই চিতা ভস্ম বার করে গঙ্গায় বিসর্জন দেব ৷ ’
এটা শুধু গুলাটির একার বিষয় নয়৷ যেখানে তাঁর চিতাভস্ম বন্দী হয়ে লকারে রয়েছে সেই লকারেই এরকমও আরও ২৬ জনের অস্থি রাখা রয়েছে ৷ শ্মশানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে , ‘আমাদের কাছে ১৮ টি লকার রয়েছে , যার সবগুলির মধ্যেই চিতাভস্ম রাখা আছে ৷ আর বাকি গুলি ব্যাগে করে রাখা হয়েছে ৷ পরিবারের আত্মীয়রা অপেক্ষা করছেন যাতে যাতে হরিদ্বারে সেই চিতাভস্ম ভাসাতে পারেন ৷ ’
advertisement
কিছু মানুষ আবার চিতাভস্ম নিয়ে যাবেন হিমাচল প্রদেশের পাওনতা সাহিবে ৷ শ্মশানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এর আগে এই লকারগুলি এনআরআই আত্মীয়দের আসার ঘটনা হলেই ব্যবহার হত ৷ আর এই লকডাউনের জেরে সাধারণ মানুষ নিজের পরিবারের মানুষটিক শেষকৃত্যের শেষটা করে উঠতে পারছেন না৷
শ্মশানের পন্ডিত জানিয়েছেন হরিদ্বারকে হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ি মুক্তির দ্বার বলা হয় ৷ এখন যেহেতু মানুষ সেখানে অস্থি বিসর্জন করতে পারছেন না তাই অপেক্ষা করা ছাড়া তাঁদের হাতে আর কোনও উপায় অবশিষ্ট নেই ৷
আর এখানেই শেষ নয় শ্মশানের আধিকারিক জানিয়েছেন রোজই প্রায় গোটা চল্লিশ করে ফোন পাচ্ছেন এই অনুরোধ নিয়ে যদি আত্মীয়ের অস্থি রাখার জন্য লকার ভাড়া পাওয়া যায়৷