এমনই এক কাণ্ড ঘটল ওড়িশার শিক্ষা দফতরের এক পিওনের সঙ্গে। নেশার টাকা জোগাড় করতে গিয়ে নিজেরই অফিসের জানালা, দরজা, নথি প্রায় সবই বিক্রি করে দিলেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হল না। ধরা পড়ে গেলেন তিনি।
আরও পড়ুন- ঝগড়ার মধ্যে স্ত্রীর কুঠারের কোপে হত স্বামী, খণ্ডিত করা হয় তাঁর যৌনাঙ্গও
advertisement
সেই পিওন-এর নাম এম পিতাম্বর। গত ২ হছর ধরে তিনি অফিসের যাবতীয় জিনিস বেচে নিজের নেশার টাকা তুলতেন বলে অভিযোগ। সুরাপ্রেমী পিতাম্বর সরকারী অফিসের প্রায় প্রতিটি আসবাব বেচে দিয়েছেন গত ২ বছরে। তবে ব্যাপারটি জানাজানি হয়েছে সম্প্রতি।
ওই পিওন মদ কেনার টাকা জোগাড় করতে গিয়ে অফিসের সমস্ত আসবাব বেচে দিয়েছেন। এমনকী অফিসের নথিও বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ। কিছুদিন আগে নতুন বিল্ডিংয়ে অফিস স্থানান্তরিত হয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছিলেন ওই পিওন।
পুরনো অফিসে আসবাব, নথি পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পিতাম্বরকে। তবে সম্প্রতি অফিসের এক উর্ধ্বতন কর্মী পুরোন অফিসে গিয়ে দেখেন, সেখানে কিছুই নেই। সব ফাঁকা। একটিও আসবাব আর সেখানে নেই। দেখে চক্ষু চড়কগাছ তাঁর। জয়ন্ত কুমার শাহু নামের ওই কর্মী এর পর পুলিশে খবর দেন।
আরও পডুন- মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীকে ‘স্মৃতিভ্রংশ’ কটাক্ষ সাকেত গোখলের, রাজনীতিতে তরজা তুঙ্গে
জেরার মুখে পিতাম্বর স্বীকার করে নেন, তিনি নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য অফিসের কাঠের আসবাব, জানালা, দরজা সব বিক্রি করেছেন। এমনকী নথিও বেচে দিয়েছেন। তিনি আরও জানান গত ২ বছরে ৩৫টি আলমারি, ১০ সেট চেয়ার-টেবিল, দু’টি দরজা বিক্রি করেছেন তিনি। ওই কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।