নিজের ট্যুইটে সুব্রামানিয়াম স্বামী লিখেছেন, "ভারতীয় সময় অনুযায়ী আজ বিকেলে ওয়াশিংটন পোস্ট এবং লন্ডন গার্ডিয়ান-একটি রিপোর্ট সামনে আনতে পারে। ইজরায়েলি সংস্থা পেগাসাস ব্যবহার করে মোদির ক্যাবিনেটের মন্ত্রী, আরএসএস-এর নেতা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং বহু সাংবাদিকের ফোনে কী ভাবে আড়িপাতা হয়েছিল তা তুলে ধরতে পারে এই রিপোর্ট। বিষয়টি নিয়ে আমি নিশ্চিত হলেই বিস্তারিত জানাবো।"
advertisement
মুচমুচে বিষয় মানেই সুব্রামানিয়াম স্বামী ট্যুইট করবেন, এটা এক রকম স্বতঃসিদ্ধই। কিন্তু গতবার যেমন সমাজকর্মী সাংবাদিক মানবাধিকার কর্মীদের নাম জড়িয়ে গিয়েছিল, এবার বিষয়টা সেখানেই আটকে থাকছে না। সুব্রামনিয়াম স্বামী এক প্রস্থ এগিয়ে বলেছেন নাম থাকতে পারে দেশের শাসকদলেরই পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদদেরও। উল্লেখ্য, ওই ট্যুইটেই ডেরেক ও'ব্রায়েন লিখেছেন, "বহু বিরোধী নেতারা ফোনে আড়িপাতা হচ্ছে।"অর্থাৎ তাঁর কথার নিহিতার্থ এই যে, তালিকায় বাংলার সাংসদদেরও নাম থাকতে পারে।
এই নাটতেই বিশেষ সংযোজন কার্তি চিদাম্বরমের ট্যুইট, যেখানে তিনি লিখেছেন, "পেগাসাস এবার বিস্ফোরক হতে পারে।" ফলে বিষয়টি যে নিছক জল্পনায় আটকে থাকছে না তা বলাই বাহুল্য। বরং এক ধাপ এগিয়ে বলা যেতে পারে, এই রিপোর্ট প্রকাশ হলে সংসদে ঝড় উঠতে পারে।
মনে রাখতে হবে, ১৮ মাস আগে এই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তিনি জানান, '' ইজরায়েলি সংস্থাকে ব্যবহার করছে কেন্দ্র, গোপন তথ্য পেতে আড়ি পাতা হচ্ছে, বিস্ফোরক অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি সে সময়েই বলেন, ''রাজনীতিক, বিচারপতি, সাংবাদিকদের উপর নজর! আগে ল্যান্ড ফোন, মোবাইলে নজরদারি হত, এখন হোয়াটসঅ্যাপও নিরাপদ নয়। কেন্দ্রই এসব করাচ্ছে। আমার ফোনে আড়ি পাতা হয়।'' ফলে এটুকু পরিষ্কার, তৃণমূলের সাংসদের নাম এবার তালিকায় থাকলে তৃণমূল নেত্রী এবং তাঁর দল এবার ছেড়ে কথা বলবে না।
উল্লেখ থাক, সে সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে সুপ্রিমকোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরাজ ওয়ালা টুইটারে লিখেছিলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিতে পারে সরকার তা জানাতে হবে। এবার এই জল কতদূর গড়াবে তা দেখার অপেক্ষা আর কয়েক ঘণ্টার।