ঘটনার পর থেকে জানা যাচ্ছিল, নিহত চন্দন মিশ্রাকে ৪টি গুলি ছোড়া হয়েছিল। কিন্তু, পরবর্তীকালে জানা যায়, চন্দনের উপর ৪টি নয়, ৩৬টি গুলি ছোড়া হয়েছিল। ময়নাতদন্তের জন্য চন্দনের সাথে থাকা একজন ব্যক্তি জানিয়েছেন যে চন্দনের শরীরে প্রায় ৩৪টি গুলি পাওয়া গেছে। গুলি ছোঁড়া হয়েছিল কাঁধ এবং পায়ের মাঝখানে। যদিও এই তথ্য সরকারি ভাবে জানানো হয়নি। পটনার শুটআউটের তদন্ত চলছে, তা গড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত৷ খুনের দিনই সন্ধ্যায় মেন শুটার তৌফিজকে গ্রেফতার করা হয়।
advertisement
চন্দন মিশ্রার বাবা শ্রীকান্ত মিশ্রা (ওরফে মান্টু মিশ্রা ) শাস্ত্রী নগর থানায় পরস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং জেনারেল সার্জন ডাঃ পিন্টু কুমার সিংয়ের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেছেন৷ সেখানে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। শ্রীকান্ত মিশ্রা তাঁর অভিযোগে বলেছেন যে, চন্দন মিশ্রকে ফিস্টুলা এবং ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারির জন্য ১৫ জুলাই ২ পারস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।
ডাঃ পিন্টু কুমার সিং ওই দিনেই দুপুর ১টা থেকে ৩টার মধ্যে তার অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপচারের পরে ডাক্তার বলেন যে, চন্দনকে ১৬ জুলাই বিকেল ৪টায় ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে পরে ডাঃ পিন্টু ছাড়ার তারিখ বাড়িয়ে ১৭ জুলাই করেন। শ্রীকান্তের অভিযোগ, ১৭ জুলাই সকাল ৭:১৫ নাগাদ পাঁচজন সশস্ত্র অপরাধী হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ডে ঢুকে এবং চন্দনকে গুলি করে খুন করে।
এদিকে, বিহার এসটিএফ দল বেঙ্গল এসটিএফের সঙ্গে পুরুলিয়া জেলে বন্দি শেরু সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই শেরুর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধেই চন্দন মিশ্রাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে৷ প্রসঙ্গত, এই চন্দন মিশ্রাও জেল খাটছিল বর্তমানে৷ অসুস্থতার কারণে প্যারোলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল৷ এই খুন গ্যাং ওয়ারের জন্য হয়েছে বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা৷
আরও পড়ুন: বেচারা শতাব্দী এক্সপ্রেস! হারাচ্ছে AC কোচ…পিছনে কারণ বন্দে ভারত, জানেন কেন?
তদন্তকারী সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীদের মধ্যে অনেকে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছে৷ দুষ্কৃতীদের গাড়ি ঢুকতে দেখা গিয়েছে নাকি দক্ষিণ কলকাতার এক আবাসনে৷ যদিও এই কোনও তথ্যেরই কোনও সরকারি বিবৃতি মেলেনি৷ আজ পশ্চিমবঙ্গ থেকে দুই দফায় ৯ দুষ্কৃতীকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
