শুক্রবার পটনার একটি হোটেলের ঘর থেকে এক মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়৷ তাঁর সারা শরীরে ছিল নৃশংসতার চিহ্ন৷ তিনি তাঁর উপর হওয়া অত্যাচার আটকাতেও চেষ্টা করেছেন, সেটিও ছিল স্পষ্ট৷ মহিলার দেহ ছিল নগ্ন, সর্বত্র ছিল ধারালো বস্তুর আঘাতের চিহ্ন৷ আর মাথায় ছিল গুলির চিহ্ন৷ মহিলাকে খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয় পাটনার হোটেলে৷
advertisement
কয়েকদিন আগেই বিহার পুলিশে চাকরি পেয়েছিলেন শোভা কুমারী নামে ওই মহিলা৷ তিনি বিবাহ করেছিলেন গজেন্দ্র যাদব নামে একজনকে৷ কিন্তু দাম্পত্যের বসন্ত বেশিদিন চলেনি৷ স্বামী অভিযোগে করেছিলেন, নতুন চাকরি পাওয়ার পর তাঁকে ও পরিবারকে যথেষ্ট সময় দিতে পারেন না শোভা, আর তাই নিয়েই শুরু হয় অশান্তি৷ উল্লেখ্য এঁদের প্রেম করে বিয়ে, বিয়ের পর এক সন্তানও হয়েছে তাঁদের৷ কিন্তু সেই সংসারেই এই পরিণতি৷
পুলিশ জানিয়েছেন, আদতে বিহারের কাকো থানা এলাকার বাসিন্দা গজেন্দ্র এ দিন পাটনায় একটি হোটেলের ঘর বুক করেন এবং তার পর সেখানে তাঁর স্ত্রীকে ডাকেন দেখা করার জন্য৷ স্ত্রী এলে তাঁদের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়৷ তারপর গুলি করে হত্যা করেন স্ত্রী-কে৷ হত্যা করার পর নিজের নম্বর থেকে তিনটি ফোন করেন তিনি, তার পর পালিয়ে যান৷ পুলিশ এখনও অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি৷ শোভার দেহ পড়ে ছিল রক্তের মধ্যে৷ একজন প্রতক্ষ্যদর্শী জানিয়েছেন, শোভাকে খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি করা হয়েছে৷