পটনার ডাক বাংলা চৌরাহায় বিক্ষোভ চলছিল। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হাতে জাতীয় পতাকা ধরে মাটিতে পড়ে আছেন এক বিক্ষোভকারী। পটনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কে কে সিং কে সেই অবস্থাতেই পেটাচ্ছেন ওই চাকরিপ্রার্থীকে। পরে পুলিশ পতাকাটিও ছিনিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন-দেশের নেতৃত্বস্থানীয় বিজেপি নেতাকে খুনের পরিকল্পনা! রাশিয়ায় আটক আইএসআইএস জঙ্গি
advertisement
ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী উপস্থিত ছিল এবং বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামানও ব্যবহার করে পুলিশ। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারির দাবিতে এই বিক্ষোভ চলছিল। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে CTET, BTET উত্তীর্ণ প্রার্থীরাও ছিলেন।
আন্দোলনরত প্রার্থীরা জানান, তাঁরা ২০১৯ সাল থেকে নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছেন। গত ৩ বছর ধরে সরকারের পক্ষ থেকে শুধু আশ্বাসই দেওয়া হয়েছে বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন। এক বিক্ষোভকারী বলেন, “সরকার গঠনের আগে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলতেন প্রথম মন্ত্রিসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিছুই হয়নি।”আন্দোলনরত প্রার্থীরা জানান, তাঁরা ২০১৯ সাল থেকে নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছেন। গত ৩ বছর ধরে সরকারের পক্ষ থেকে শুধু আশ্বাসই দেওয়া হয়েছে
আরও পড়ুন- "ভারতরত্ন পাওয়া উচিত সিসোদিয়ার, বদলে পাচ্ছেন সিবিআই তদন্ত:" অরবিন্দ কেজরিওয়াল
অন্যদিকে, বিজেপি এই ঘটনার জন্য নবগঠিত জেডিইউ-আরজেডি সরকারের তীব্র নিন্দা করেছে। “নীতীশ কুমার ২০ লক্ষ চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিলেন, পাটনায় আজ তাঁরই পুলিশ বিক্ষোভকারী শিক্ষক প্রার্থীকে অমানবিকভাবে মারধর করেছে। বিহার সরকার এবং তার কর্মকর্তারা কেবল শিক্ষকের মুখই রক্তাক্ত করেনি, তেরঙ্গারও অবমাননাও করেছে। এটাই জেডিইউ-আরজেডি সরকারের আসল চেহারা,” ট্যুইটে বলেছেন বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য।