রবিবার নষ্ট করার জন্য বিচারপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে এদিন সওয়াল শুরু হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবং নজরদারিতে চাকরি নিয়োগে দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে। সেই তদন্তে গ্রেফতার হয়েছেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে ২ দিনের ইডি হেফাজত দেওয়া হলেও ১৪ দিন ইডি হেফাজত চেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। ইডির তরফে দাবি করা হয়, বাঙ্কশাল আদালত ইডির বক্তব্য না শুনেই নির্দেশ দিয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানোর। কোনও শুনানি ছাড়াই এসএসকেএম পাঠানো হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
advertisement
ED আইনজীবী তাঁর সওয়ালে বলেন, "এক্ষেত্রে এই হাসপাতালের ভূমিকা সন্দেহজনক (Partha Chatterjee | SSC Scam Case)। এর আগেও কিছু বিষয় নজর করেছি। ইডি অফিসারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী। অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি।২১ কোটির বেশি টাকা ২০ টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। নিম্ন আদালতে জামিন বাতিল হয়েছে। সোমবার ফের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে আগে ফিট সার্টিফিকেট দিয়েছে অন্য হাসপাতাল। নির্দিষ্ট একটি হাসপাতালে কেন পাঠানো হচ্ছে? এই হাসপাতাল চিকিৎসার নামে দুর্নীতিকে ধামা চাপা দিতে চাইছে। ED অফিসারদের হাসপাতালে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল সহযোগিতা করছে না কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে।"
বিচারপতি এর পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, গ্রেফতারের পর মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দিন। এরপরেই এদিনের শুনানি চলাকালীন জোকা ইএসই এর রিপোর্ট জমা করে ইডি। দেখা যায় সম্পূর্ন ফিট লেখা রয়েছে সার্টিফিকেট-এ। ED আইনজীবীর কথায়, নিম্ন আদালত বলতে পারে না কোন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।PMLA আইনের বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোনও ধারনাই নেই নিম্ন আদালতের।"
ইডির আইনজীবী দেবাশীষ রায় আরও সওয়াল (Partha Chatterjee | SSC Scam Case) করেন, "জিজ্ঞাসাবাদের সময় আইনজীবী উপস্থিত থাকবেন অভিযুক্তর সঙ্গে। কেন? নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করুক হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ইডির তরফে দাবি করা হয়, দেশের বেস্ট ট্রিটমেন্ট আমরা অভিযুক্তকে দেব। দিল্লি এইমসে চিকিৎসা করাব। কল্যানী এইমসেও চিকিৎসা করাব।অভিযুক্ত নিজের পছন্দের হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারেন না। প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব এসএসকেএম ম্যানেজ করতে পারে। ২ দিন হাসপাতালে উনি। ইডি হেফাজতেই পেল না। তাহলে ইডি হেফাজতে নির্দেশ কীভাবে কার্যকর হবে?" একইসঙ্গে জোকা ইএসআই হাসপাতালের সার্টিফিকেটের কার্বন কপিতে নতুন করে কলম চালিয়ে লেখা হয়েছে বলেও ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে।