তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে কক্ষ সমন্বয় হবে। যে সমস্ত দল তৃণমূলের বিভিন্ন ইস্যুকে সমর্থন এগিয়ে আসবে তাদের সবাইকে স্বাগত। তবে কক্ষ সমন্বয় নিয়ে কয়েকটি সমীকরণ রয়েছে। সেই সমীকরণের দিক থেকে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসই। কারণ, সামনে পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। ফলে কংগ্রেস বিরোধী পরিসরের নেতৃত্বে এলে যেতে পারবে না আকালি দল, আম আদমি পার্টি। কারণ, পঞ্জাবে তারা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। আবার সমাজবাদি পার্টিরও কংগ্রেসের সঙ্গে যেতে সমস্যা হবে। যেহেতু উত্তরপ্রদেশে তারা আলাদা লড়াই করছে।
advertisement
সেদিক থেকে তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী পরিসরের সামনে থাকলে কোনও সমস্যা হবে না আকালি দল, আম আদমি পার্টি, সমাজবাদি পার্টির মতো দলগুলির। তৃণমূলের ছত্রছায়ায় তারা প্রত্যেকেই আসতে পারবে। সংসদের বাদল অধিবেশন চলাকালীনই দিল্লিতে আসছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দলের সাংসদদের তিনিও দিকনির্দেশ করবেন। সব মিলিয়ে বাদল অধিবেশনের আগে অ্যাডভান্টেজে তৃণমূল কংগ্রেস।
এবার বাদল অধিবেশনে তৃণমূলের তরফে ঝাঁঝালো আক্রমণ করা হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী মোদির ব্যাঙ্গাত্মক সুরে 'দিদি ও দিদি' বলার পাল্টা দেবে মমতা শিবির। সংসদে উঠবে 'দাদা ও দাদা' স্লোগান। নির্বাচনী প্রচারে বিজেপির করা সবরকম আক্রমণ ফিরিয়ে দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। মহিলা সংরক্ষণ বিল আনারও দাবি তোলা হবে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। ১৯৯৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বরে প্রথমবার লোকসভায় বিলটি পেশ করে এইচডি দেবগৌড়া সরকার। পরে বাজপেয়ি সরকারও সেই বিলটি লোকসভায় পাস করানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ২০০৮ এ ফের মহিলা সংরক্ষণ বিলটি লোকসভায় পেশ করে ইউপিএ ১ সরকার। ২০১০ এর ৯ মার্চ বিলটি রাজ্যসভায় পাস হলেও লোকসভায় বকেয়া পড়ে থাকে। তৃণমূলের দাবি, দ্রুত বিলটি পুনরায় এনে পাস করানো হোক। তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েনের প্রশ্ন, কেন মহিলাদের সংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে না মন্ত্রিসভা, সংসদে?
উত্তরপ্রদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে ছবি দেখা গিয়েছে, তার নিন্দা হয়েছে বিশ্বজুড়ে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে অক্সিজেনের অভাব, হাসপাতালে শয্যার অভাব, রেমডিসিভির ইঞ্জেকশনের অভাব থেকে শুরু করে গঙ্গার পাড়ে বালিতে পুঁতে রাখা দেহের ছবি। এমনকী, যোগী সরকারের করোনা 'মিসম্যানেজমেন্টের' সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি বিধায়কদের। সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে এবারের বাদল অধিবেশনে সরব হবে তৃণমূল কংগ্রেস। দৈনিক সংসদের কাজকর্ম নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দেবেন তৃণমূলের একজন করে সাংসদ।