কিন্তু সংসদ ভবনের মধ্যে স্মোক বোমা নিয়ে ঢুকল কী করে অভিযুক্তরা? জানা গিয়েছে, জুতোর মধ্যে তৈরি গর্তের আড়ালে রাখা হয় স্মোক বোমা। সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র করে সংসদে ঢোকে দুই অভিযুক্ত। লখনউ থেকে বিশেষ দুই জোড়া জুতো কেনে অভিযুক্তরা। দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে এমনই দাবি পুলিশের।
আরও পড়ুন: ‘আপনারা কিছু লুকোতে চাইছেন’, SSC-র ৫০০০ চাকরি বাতিল মামলায় বিরাট কাণ্ড হাইকোর্টে
advertisement
শুধুই ভিনরাজ্যের জুতো নয়, সংসদ হানায় মেড ইন চায়না স্মোক ক্যানও ব্যবহৃত হয়। এরপর শুধুই ললিত নয়, দিল্লির থানায় আত্মসমর্পণ রাজস্থানের জোড়া শাগরেদেরও। স্পেশাল সেলের কব্জায় নাগৌরের দুই ভাই। সোশ্যাল মিডিয়ার পেজেই আলাপ। ধৃত নীলমের সঙ্গে যোগাযোগ মহেশ-কৈলাশের।
আরও পড়ুন: দিঘার আগেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড, বাসের মধ্যে শুধু কান্নার রোল! জাতীয় সড়কে হাড়হিম ঘটনা
গত মে মাসে দরজা খুলেছিল নতুন সংসদ ভবনের। তার পরে গত জুলাই-অগস্টে সেখানে বসে বাদল অধিবেশন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সেই সময়েই দিল্লি এসেছিলেন সংসদ হানার চার হানাদারের এক জন। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, ৯ মাস আগে এই সংসদ হানার পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করেছিলেন হানাদারেরা। আর জুলাই মাসে নতুন সংসদ ভবনের সব কিছু সরেজমিনে দেখে গিয়েছিলেন মনোরঞ্জন ডি নামের এক হানাদার। বুধবারের হানার ঘটনায় নতুন সংসদ ভবনের বেশ কিছু নিরাপত্তা জনিত পরিবর্তনকে দায়ী করছেন অনেকেই। কেউ বলছেন পুরনো সংসদ ভবনের তুলনায় নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা অনেক কম থাকে নতুন সংসদ ভবনে। সেটাই বাড়তি সুবিধা করে দিয়েছে হানাদারদের।