উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন খবর এবং মুখ্যমন্ত্রীর জীবনের ঝুঁকি থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। ভারতের জনপ্রিয় প্রাক্তন সেনা মেজর গৌরব আর্য পরিষ্কার জানিয়েছেন সীমাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারত ছাড়া করা উচিত। তার প্রাক্তন স্বামী গোলাম হায়দারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। হতে পারে এই পাকিস্তানি মহিলাকে ভারতে আনার পেছনে বড় ষড়যন্ত্রের মতলব আছে পাক গুপ্তচর সংস্থার।
advertisement
সীমা একজন পাকিস্তানি গৃহবধূ। কিছুদিন আগে আগে অনলাইন গেম পাবজি খেলার সময় তার সঙ্গে পরিচয় হয় উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডা নিবাসী শচীন নামে এক যুবকের। পরিচয় পরে প্রেমে পরিণতি পায়। এরপর প্রেমিকের টানে চার সন্তানকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। একপর্যায়ে নেপাল সীমান্ত হয়ে গ্রেটার নয়ডায় প্রবেশ করেন তিনি।
বেআইনিভাবে ভারতে অনুপ্রেবেশের জন্য সীমাকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় প্রেমিক শচীনকেও। কিন্তু কয়েকদিন আগে তাদের মুক্তি দেন আদালত। বর্তমানে গ্রেটার নয়ডায় প্রেমিকের সঙ্গেই বসবাস করছেন সীমা। তিনি পাকিস্তানে ফিরে যেতে ইচ্ছুক নয় বলে জানিয়েছেন। ভারতে থেকে শচীনের সঙ্গেই নতুন করে সংসার বাঁধতে চান।
তবে তার সন্তানরা চাইলে পাকিস্তানে ফিরে যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। নিজেকে এরই মধ্যে ভারতীয় বলেও দাবি করে বসেছেন সীমা। তার দাবি, অন্তর থেকে তিনি ভারতীয় সংস্কৃতি ও হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে ফেলেছেন। সচিনের পরিবারের কথা ভেবে নিরামিষ খেতেও শুরু করেছেন তিনি। তবে এখন পাকিস্তানের গৃহবধূকে নিয়ে ভারত সরকার কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার।