বুধবার মাসুদের আটক হওয়ার খবর প্রচার করে পাক সংবাদমাধ্যম ৷ এরপর থেকেই জল্পনা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে ৷ জইশ ঘাঁটিতে হামলার কথাও বলে হয় সংবাদমাধ্যমে। কিন্তু, এ ব্যাপারে ইসলামাবাদ ভারতকে কিছুই জানায়নি। তবু এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার রাতে দীর্ঘ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী । শুক্রবার ইসলামাবাদে ভারত-পাকিস্তানের বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু সেই বৈঠকে ভারত অংশ নেবে কিনা, তা নিয়ে মোদির বাসভবনে আলোচনা চলে প্রায় দু’ঘণ্টা ৷ সেই বৈঠকে পাঠানকোট হানার পরবর্তীতে পাকিস্তানের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হয়। ভারতের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তদন্ত চালাতে ইসলামাবাদ কতটা আন্তরিক, তারও বিশ্লেষণ করা হয়। জঙ্গি দমনে পাকিস্তানের অতীতই ভারতের এই অনাস্থার পিছনে। সংসদ ভবন, মুম্বই ও পাঠানকোট হানার মূল ষড়যন্ত্রী মাসুদ। তার বিরুদ্ধে বার বার তথ্যপ্রমাণ দেওয়ার হলে পাকিস্তান তেমন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
advertisement
সেখানকার সংবাদমাধ্যম মাসুদের আটক হওয়ার খবর দিলেও পাক সরকার ছিল নীরব। তাই মাসুদ আজহারকে কি পাকিস্তান সত্যিই আটক করেছে কিনা সে বিষয়ে রয়ে গিয়েছিল দোলাচল ৷ তবে বৃহস্পতিবার জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের আটক হওয়া নিয়ে ভারতের সংশয়ই সত্যি হল। পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র এদিন জানালেন, মাসুদকে আটক করা হয়নি। বৃহস্পতিবার পাক সংবাদমাধ্যম প্রচার করে, মাসুদকে পাকিস্তান সরকার আটক করেছে। যদিও ভারতকে এ ব্যাপারে কোনও তথ্য দেয়নি ইসলামাবাদ। তখনই দানা বাঁধে সন্দেহ । পাকিস্তান এটাও জানিয়েছে, কাল দু’দেশের বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক হচ্ছে না। এই বৈঠকের তারিখ স্থির করতে আলোচনা চলছে। এ ব্যাপারে ভারতের মত জানা যাবে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় বিদেশ মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল বলে জানা গিয়েছে।