সম্প্রতি স্কাই নিউজের সাংবাদিক ইয়ালদা হাকিমকে দেওয়া একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে কথায় কথায় এক ভয়ঙ্কর কথা স্বীকার করে ফেলেছিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খ্বজা আসিফ৷ সাক্ষাৎকারে তাঁকে সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, পাকিস্তান সরকার দীর্ঘদিন ধরে ‘জঙ্গিদের সমর্থন, প্রশিক্ষণ এবং অর্থনৈতিক ভাবে সাহায্য’ করে এসেছে কি না৷
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ‘আটক’ ভারতীয় জওয়ান! দ্রুত ঘরে ফিরুক পূর্ণম, আতঙ্কের প্রহর গুনছে হুগলি
advertisement
উত্তরে আসিফ বলেন, ‘‘হ্যাঁ, আমরা আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ অন্য পশ্চিমি দেশগুলোর জন্য এই নোংরা কাজ করে আসছি৷ গত তিন দশক ধরে৷’’ অর্থাৎ, স্বীকার করলেন গত তিন দশক ধরে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে, তাদের ফান্ড জুগিয়ে আসছে পাকিস্তান৷ যা এতদিন ধরে অভিযোগ করে আসছিল ভারত৷
এই সাক্ষাৎকারেই আসিফ দাবি করেছেন, পাকিস্তানে এখন লস্কর-এ-তৈবা নামের কোনও জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব নেই৷ বলেছেন, ‘‘লস্কর একটা পুরনো নাম৷ এর অস্তিত্ব নেই৷’’
পহেলগাঁওয়ের ঘটনার সঙ্গে যে কোনও রকমের সংযোগ থাকার কথা আগেই অস্বীকার করেছেন আসিফ৷ বলেছেন, এটা ভারতেরই কারও কাজ৷ ওখানে কিছু হলেই ওরা আমাদের দিকে আঙুল তোলে, কিন্তু, কোনও প্রমাণ দেখাতে পারে না৷ বালকোটের সার্জিক্যাল স্ট্রাইককেও “false flag operation” বলেছেন তিনি৷
গত মঙ্গলবারের জঙ্গি হামলার পরপরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত৷ ভিসা নীতিতেও কড়া অবস্থান নেওয়া হয়েছে৷ ফিরে যেতে বলা হয়েছে এদেশে আসা পাক নাগরিকদের৷ ভারতে থাকা পাক দূতাবাসের সংখ্যাও কমিয়ে দিতে বলা হয়েছে৷
এর পাল্টা পাকিস্তান জানিয়েছে, সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত হলে শিমলা চুক্তিও তারা মানবে না৷ একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘সিন্ধু জল চুক্তি অনুসারে পাকিস্তানের জলের প্রবাহ বন্ধ বা ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার এবং নিম্ন নদী তীরবর্তী অঞ্চলের অধিকার হরণ করার যে কোনও রকম প্রচেষ্টা যুদ্ধের মতো (অ্যাক্ট অফ ওয়ার) বলে বিবেচিত হবে।’’
পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্কাই নিউজের সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট জানিয়েছেন, যদি যুদ্ধ হয়, যুদ্ধ হবে৷ আঘাত আসলে প্রত্যাঘাত হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি৷