এই তিনজনের মধ্যে একজন ছিল তাহির হাবিব, যে লস্কর-ই-তইবার সক্রিয় সদস্য ছিল বলে জানা যায়। PoK-র রাওয়ালকোটে তাহিরের জন্য শোকসভার আয়োজন করল পাকিস্তান। জানা যাচ্ছে এমনটাই।
পহেলগাঁওতে হামলা করা জঙ্গি তাহির হাবিবের জন্য পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK)-এর রাওয়ালকোট জেলার খাই গালা গ্রামে একটি শোকসভা (জনাজা-এ-গায়েব) অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে খবর। অর্থাৎ শব ছাড়াই দাফন প্রথা সম্পন্ন হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- সীমান্তের বেড়া নয়, এয়ারপোর্টের কাচ ভেঙে কলকাতায় ঢুকতে গেলেন বাংলাদেশি! তার পর কী হল?
এই ধরণের ঘটনা স্পষ্ট করে দেয়, পাকিস্তান শুধুমাত্র এই হামলার পেছনে দায়ী ছিল না, বরং এখনও এই ধরনের জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থন প্রকাশ করছে তারা। পহেলগাঁওতে হামলা পাকিস্তানের মদতের আরেকটি অকাট্য প্রমাণ এই ঘটনা।
তাহির হাবিব ছিল ‘A ক্যাটাগরির’ মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। PoK-র মানুষও সন্ত্রাসে বিরক্ত ছিল। সে একসময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য ছিল এবং পরে লস্কর-ই-তইবা-র প্রশিক্ষিত অপারেটিভে পরিণত হয়। তাহিরের শোকসভা (জনাজা)–র ভিডিওগুলো এখন টেলিগ্রাম চ্যানেলে ভাইরাল, যেখানে দেখা গেছে গ্রামের প্রবীণ মানুষরাও উপস্থিত ছিলেন।
ওই সভায় আবার তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কারণ স্থানীয় লস্কর কমান্ডার রিজওয়ান হানিফ জোর করে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করে তাতে।
কিন্তু তাহিরের পরিবার পরিষ্কারভাবে সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির প্রতিবাদ জানায়। এই ঘটনা দেখায়, PoK-এর সাধারণ মানুষও এখন জঙ্গি ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের জন্য অত্যন্ত বিরক্ত ও ক্লান্ত। তাঁরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। অর্থাৎ পাকিস্তান-শাসিত অঞ্চলে মানুষের মানসিকতায় পরিবর্তনের ইঙ্গিত স্পষ্ট।