জঙ্গিহামলায় নিহত হয়েছেন ২৭ জন ভারতীয়। সেনা সূত্রের দাবি, কুলগামের কাছে ওই হামলাকারীদের চিহ্নিত করে নিরাপত্তাবাহিনী। গুলি বিনিময়ও হয় দু’পক্ষের। কিন্তু পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। যদিও সেনার পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
পহেলগাঁও হামলার তদন্তভার সরকারিভাবে নেওয়ার পর এই মুহূর্তে বৈসরন ভ্যালি এবং আশপাশের জঙ্গলে এনআইএ টিম রয়েছে, সঙ্গে রয়েছে ফরেন্সিক টিম, কেন্দ্রীয় বাহিনী। গোটা বৈসরন ভ্যালি এই মুহূর্তে রেসট্রিকটেড বা সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।
advertisement
এই এক সপ্তাহে কী কী হল পহেলগাঁওয়ে?
* পহেলগাঁও লাগোয়া একাধিক জঙ্গলে টানা চিরুনি তল্লাশি চলছে।
* সূত্রের খবর, সেনাবাহিনী, আধাসেনা এই মুহুর্তে অপারেশন চালাচ্ছে এক আনড্সক্লোজড লোকেশনে।
* স্থানীয় পোনি চালকদের একটা বড় অংশ এখনও আটক স্থানীয় থানায়। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ
* ওসিডব্লিউদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
* গোয়েন্দা সূত্রে খবর, হাইলি ট্রেইন্ড এই জঙ্গিরা অন দ্য মুভ রয়েছে টানা। তাই বাগে আনতে লাগছে কিছুটা সময়।
* এনআইএ উপস্থিত রয়েছে পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায়।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, পহেলগাঁওয়ের ভৌগোলিক পরিস্থিতি জঙ্গিদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। চারদিকে ঘন জঙ্গলের সুবিধা নিয়ে এক দিকে জঙ্গিরা কোকেরনাগ, কিস্তওয়ারের মতো দূরের এলাকাগুলিতে চলে যেতে পারে। কিস্তওয়ারের জঙ্গল, দুর্গম পাহাড়ের মাধ্যমে যোগাযোগ রয়েছে ডোডার।
আর এক বার ডোডা পৌঁছলে সেখান থেকে কাঠুয়া পর্যন্ত চলে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে জঙ্গিদের। আবার জঙ্গলের আড়ালের সুযোগ নিয়ে সোনমার্গ বা বালতালেও পৌঁছে যেতে পারে জঙ্গিরা। সূত্রের দাবি, শেষ দফায় তাদের ত্রাল ও তার পরে কোকেরনাগে দেখা গিয়েছে। তাই গোটা এলাকা ধরেই তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা, আধাসেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য
