TRENDING:

তিহার জেলে যেতে হবে না চিদম্বরমকে, সিবিআই হেফাজত বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট

Last Updated:

জামিন খারিজ হলে সিবিআই হেফাজতে কিংবা গৃহবন্দি রাখা হোক, শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন চিদম্বরম৷ আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: জামিন খারিজ হলেও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে তিহার জেলে আপাতত যেতে হবে না৷ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ জামিন খারিজ হলে সিবিআই হেফাজতে কিংবা গৃহবন্দি রাখা হোক, শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন চিদম্বরম৷ আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে জানিয়েছে, জামিন খারিজ হলে সিবিআই হেফাজতে থাকবেন৷ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিবিআই হেফাজত বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট৷
advertisement

চিদম্বরমের আইনজীবী কপিল সিব্বল শীর্ষ আদালতে বলেন, 'অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দিন আমায়৷ আমি পালিয়ে যাবো না৷ আমাকে তিহার জেলে পাঠানো হলে, এই আবেদন বিফল যাবে৷ ৭৪ বছরের এক বৃদ্ধকে এই ভাবে ট্রিট করা ঠিক নয়৷' আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় আপাতত সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন চিদম্বরম৷ আজ অর্থাত্‍ সোমবার চিদম্বরমের জামিনের আবেদনের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে৷ আদালতের রায়ে জামিন খারিজ হয়ে যায়, তা হলে তিহার জেলে যেতে হবে না প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে৷

advertisement

প্রসঙ্গত, দুর্নীতি মামলায় কোনও অভিযুক্তকে সর্বোচ্চ ১৫ দিন সিবিআই হেফাজতে রাখা যায়৷ আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় গত ২১ অগাস্ট প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে সিবিআই৷ সিবিআই-এর অভিযোগ, আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত চিদম্বরম৷

আইএনএক্স মিডিয়া মামলা কী?

২০০৭ সালের ঘটনা৷ পিটার মুখোপাধ্যায় ও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় INX মিডিয়া গ্রুপ খোলে৷ একটি সংবাদমাধ্যম সংস্থা৷ INX মিডিয়া মামলায় চিদম্বরমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন, INX মিডিয়া কর্তৃপক্ষ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩০৫ কোটি টাকা পেয়েছিল। অনুমতি দিয়েছিল ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ড। অভিযোগ, ওতো টাকার অনুমোদন আসলে ছিল না ওই সংস্থার৷ অভিযোগ, বিদেশি লগ্নি পাইয়ে দিতে পি চিদম্বরমের ছেলে কার্তি চিদম্বরম ১০ লক্ষ নিয়েছিলেন৷ ওই সময় চিদম্বরমের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছিল ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় ও পিটার মুখোপাধ্যায়ের। ২০০৭ থেকে ২০০৮-এর মধ্যে ৮০০ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩০৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আইএনএক্স মিডিয়া৷

advertisement

চিদম্বরমই আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলার প্রধান ষড়যন্ত্রী হতে পারেন বলে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। ২০১০ সালে ইউপিএ সরকারের আমলেই প্রথম আইএনএক্স দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসে। পরে মামলাটি ধামাচাপ পড়ে যায়৷ এই মামলায় ২০১৭ সালের ১৫ মে এফআইআর করে সিবিআই৷ টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ডের অনুমতি কী ভাবে মিলেছিল, তার তদন্ত করছে সিবিআই৷ আর্থিক তছরুপের তদন্ত করছে ইডি৷ ২০০৭ সালে INX মিডিয়া তৈরির সময় দুই অন্যতম কর্ণধার ছিলেন পিটার মুখোপাধ্যায় ও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়৷ কার্তি চিদম্বরমের সঙ্গে মিলে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তদন্ত চলছে দু জনের বিরুদ্ধেই৷ এছাড়া মেয়ে সিনা বোরাকে খুনেও মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী৷

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শেষ সুবর্ণ সুযোগ! হাতছাড়া হলে কেঁদে কুল পাবেন না...
আরও দেখুন

২০০৭ ও ২০০৯ সালে দুটি কোম্পানি ইন্দ্রাণীর নামে খোলা হয় যার ৯৯.৯ শতাংশ শেয়ার ইন্দ্রাণীর নামে ছিল। পিটার তাতে কখনও ১০ কোটি, কখনও ৫০ লক্ষ টাকা করে ঋণ দিয়েছেন। কোনও সুদ ছাড়াই ঋণ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ইডি-র অভিযোগ, কোনও লেনদেন, ব্যবসা ছাড়াই একে অপরকে ঋণের নামে টাকা দিয়ে তা নয়ছয় করেছেন পিটার-ইন্দ্রাণী। সেই কাজেই করফাঁকি দিতে কার্তিকে জড়ানো হয়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
তিহার জেলে যেতে হবে না চিদম্বরমকে, সিবিআই হেফাজত বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট