১৫ দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে বিক্ষোভ সমাবেশ ৷ ফি বৃদ্ধি ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত নতুন হস্টেল ম্যানুয়ালে উল্লেখিত কার্ফু টাইমিং ও ড্রেস কোড নিয়েও প্রবল বিরোধীতা করেছে পড়ুয়ারা৷ একলাফে বাড়ল ৩০০ শতাংশ, আকাশছোঁয়া ফি-এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ আন্দোলন পড়ুয়াদের ৷ আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, এখানকার প্রায় ৪০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীরাই নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ৷ তাদের পক্ষে এত ফি দেওয়া সম্ভব নয় ৷ এইসব মেধাবী পড়ুয়াদের পড়ার রাস্তা বন্ধ করতেই এমন ছাত্রবিরোধী নীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বলে অভিযোগ ছাত্রছাত্রীদের ৷
advertisement
বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্র সংসদ ক্যাম্পাসে সব পড়ুয়াদের এক হয়ে সেখান থেকে AICTE অডিটোরিয়াম পর্যন্ত মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই হলেই এদিন সমাবর্তন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা।
পড়ুয়াদের বিক্ষোভ সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ব্যারিকেড ৷ মোতায়েন প্রচুর পুলিশ কর্মী ৷ ছবিতে দেখা যায়, বিক্ষোভ প্রতিবাদ চলাকালীন পুলিশকর্মীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ছাত্র সংসদের বেশ কয়েকজন ৷ আন্দোলনরত ছাত্ররা জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা অবধি চলবে আন্দোলন ৷একইসঙ্গে সমাবর্তন বয়কটের সিদ্ধান্তও জানিয়েছে তারা ৷
১৯৭২ সালের প্রথম কনভোকেশনের ৪৬ বছর পর ২০১৮ সালেই দ্বিতীয়বার সমাবর্তন আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় ৷ সেবারও JNU-এর ভিসি এম জদগেশ কুমারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে সমাবর্তন বয়কটের ডাক দিয়েছিল ছাত্র সংসদ।