ঘটনাটি ঘটেছে সুরাতের ভাতার এলাকায় । গত ৯ ডিসেম্বর খেলতে খেলতে হঠাৎই প্রতিবেশীর ফ্ল্যাটের দো’তলা থেকে নীচে পড়ে যায় যশ সঞ্জীব ওজা নামের আড়াই বছরের ওই শিশু। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় আমরুতা হাসপাতালে । সেখানে শুরু হয় তার চিকিৎসা । কিন্তু চিকিৎসকদের হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও গত ১৪ ডিসেম্বর তাঁর ব্রেথ ডেথ ঘোষণা করা হয় ।
advertisement
এরপরেই সুরাতের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সভাপতি নীলেশ মান্ডেওয়ালা যোগাযোগ করেন যশের বাবা-মায়ের সঙ্গে । অঙ্গদানে তাঁদের রাজি করান তিনি । যশের বাবা সঞ্জীব ওজা পেশায় একজন সাংবাদিক । বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে তিনিও অমত করেননি ।
এরপরেই যশের হৃদপিণ্ড আর ফুসফুস এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে চলে যায় চেন্নাইয়ে । ১,৬১৫ কিলোমিটার যেতে সময় নেয় মাত্র ১৬০ মিনিট । সেখানেই যশের হার্ট প্রতিস্থাপন করা হয় ৪ বছরের এক রাশিয়ান শিশুর শরীরে । আর ফুসফুসটি পায় ইউক্রেনের এক ৪ বছরের শিশু । গত বছর থেকে এই দুই শিশুর চিকিৎসা চলছিল চেন্নাইয়ে হাসপাতালে । অবশেষে নতুন জীবন পেল তারা ।
যশের একটি কিডনি দেওয়া হয় সুরেন্দ্র নগরের বালিন্দা ১৩ বছরের এক কিশোরীকে এবং আর একটি পায় সুরাতেরই ১৭ বছরের এক কিশোরী । যশের লিভার বা যকৃৎ দেওযা হয় একটি ২ বছরের শিশু এবং তার কর্নিয়া রাখা হয়েছে সুরাতের লোক দৃষ্টি চক্ষু ব্যাঙ্কে ।