ছবিটা ছিল এইরকম, রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ এক এক করে বিরোধী নেতাদের নাম ডাকছেন, আর তাঁরা উঠে দাঁড়িয়ে বিল নিয়ে বলছেন। কিন্তু বিল প্রসঙ্গ এড়িয়ে প্রত্যেকেই টেনে আনছেন পেগাসাস, কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রসঙ্গ। সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদব, ডিএমকে-র তিরুচি শিবা, আরজেডি-র মনোজ ঝা-সহ আরও অন্যান্য দলের সাংসদরা বিকাশ ইস্যুতে আলোচনা চেয়েছেন। বিরোধীদের এই কৌশল কার্যত সফল হয়েছে। প্রত্যেক বক্তা পেগাসাস উল্লেখ করার পর মাইক বন্ধ করে দিয়েছেন ডেপুটি চেয়ারম্যান।
advertisement
পেগাসাস নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে সাসপেন্ড হয়েছেন তৃণমূলের ৬ সংসদ। দিনের মতো সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু, অধিবেশন শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ওই সাংসদদের সভাকক্ষে ঢুকতে বাধা দেন মার্শালরা। এ নিয়ে রীতিমতো শোরগোল বাধে। রাজ্যসভায় সাংসদ দোলা সেনের ব্যাগ রয়ে গিয়েছিল। তিনি সেটি আনতে যেতে চাইলেও তাঁকে আনতে দেওয়া হচ্ছিল না। পরে ডেরেক ও'ব্রায়েন নিয়ম দেখিয়ে সুর চড়াতেই সুর নরম করে সরকার পক্ষ।
এ দিকে, বুধবার সকালে ১৬ টি রাজনৈতিক দলের ১৮ জন নেতা একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকারকে সংসদে পেগাসাস ইস্যুতে আলোচনার জন্য আরও একবার অনুরোধ জানিয়েছেন। এই দলগুলির মধ্যে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, এনসিপি, সিপিআই, সিপিএম, আরএসপি, ডিএমকে, আরজেডি, শিবসেনা, ন্যাশনাল কনফারেন্স, এলজেডি, আপ এবং আইইউএমএল। বিবৃতিতে সই করেছেন ডেরেক ও'ব্রায়েন এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক শুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, "মোদি সরকার কে সংসদে দাঁড়িয়ে বলতে হবে তারা পেগাসাস ইস্যুতে কেন আলোচনা চাইছে না ? পেগাসাস ইস্যুতে যদি সারবত্তা কিছু না থাকে তাহলে আলোচনায় ভয় কীসের ?"
RAJIB CHAKRABORTY