রাজ্যে রাজ্যে গিয়ে নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন। কয়েকদিন আগে নবান্নেও আসেন। বৈঠক করেন মমতার সঙ্গে। সেখানেই ঠিক হয়, ১১ ডিসেম্বর সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের আগে বিজেপি বিরোধী দলগুলি বৈঠকে বসবে। ঠিক করবে চূড়ান্ত কর্মসূচি। মোদি বিরোধীদের সেই বৈঠক হবে ১০ ডিসেম্বর।
শত্রুর শত্রু বন্ধু। এই ফর্মুলাতেই এবার কংগ্রেসের হাত ধরেছে একদা কংগ্রেসের বিরোধিতা করে জন্ম হওয়া টিডিপি। দু’দল তেলেঙ্গনায় জোট বেঁধেও লড়ছে। আবার লোকসভা ভোটে মোদি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতেও দুই দল পাশাপাশি। বিজেপি খোঁচা দিয়ে বলছে, এই মহাজোট আসলে আদর্শহীন, সুবিধাবাদীদের জোট। এই দাবি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। তাঁর বার্তা, রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা ভুলে সবার আগে এখন মোদি সরকারকে সরানোই পাখির চোখ হওয়া উচিত। আর এর জন্য বিজেপি বিরোধীদের এককাট্টা হতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন বিজেপির ঘাঁটিতেই বদলের সুর, দিল্লিতে বদলের ডাক মমতার
উত্তরপ্রদেশ হোক বা কর্ণাটক, সাম্প্রতিককালে যে সব উপনির্বাচনে বিরোধীরা জোট বেঁধে লড়েছে, সেখানেই ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। এই প্রেক্ষাপটে, সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর ঠিক আগের দিন বিরোধীদের বৈঠক, বিজেপির কাছে চিন্তার বলেই মত পর্যবেক্ষকদের একাংশের। বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরাতে আসরে নেমে পড়েছেন খোদ নরেন্দ্র মোদিও। তিনি এখন বোঝানোর চেষ্টা করছেন, মমতা-মায়াবতী-অখিলেশ চলতে পারে, কিন্তু কংগ্রেস একেবারেই নয়। বিরোধীদের মধ্যে কৌশলে বিভেদ তৈরির এই চেষ্টাতেই জল ঢালতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-চন্দ্রবাবু নায়ডু-রাহুল গান্ধিরা। তাই একদিকে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে যেমন সুর চড়াচ্ছেন মমতা-রাহুল। তেমন, আরেকদিকে মোদি বিরোধী মহাজোটের সলতে পাকাচ্ছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু।