গত ২৩ জুন নীতীশ কুমারের পৌরহিত্যে পটনার বৈঠকে যোগ দিয়েছিল প্রায় ১৫টি দল৷ তাঁদের মধ্যে ছিল কংগ্রেস,তৃণমূল কংগ্রেস, আপ, আরজেডি-র মতো দল৷ সেই বৈঠকের পরেই একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয় আপের তরফে৷ যা ফের প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয় চব্বিশের বিরোধী জোটের ভবিষ্যৎ৷ কী বলা হয়েছিল সেই বিবৃতিতে?
আরও পড়ুন: কুন্তলের সেল-এর সামনে কে ঘুরে বেড়াচ্ছে! আদালতে সব কথা ফাঁস করল ইডি-সিবিআই
advertisement
সেদিন বৈঠক শেষে একটি বিবৃতি জারি করে আম আদমি পার্টি জানায়, এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ১৫টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ১২টি দলের প্রতিনিধি রয়েছে রাজ্যসভায়৷ তার মধ্যে একমাত্র কংগ্রেস ‘ব্ল্যাক অর্ডিন্যান্স’-এর বিরোধিতার বিষয়ে তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি৷
আম আদমি পার্টির বক্তব্য, এর মধ্যে কংগ্রেস যদি জনসমক্ষে এই ‘ব্ল্যাক অর্ডিন্যান্স’-এর বিরোধিতা না করে, যদি কংগ্রেসের ৩১ জন রাজ্যসভার সাংসদ এই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতায় ভোট না দেন, তবে পরবর্তী বৈঠকে কংগ্রেস উপস্থিত থাকলে, তারা সেখানে থাকবে না৷
২৩ জুনের পরে, ১৭-১৮ জুলাই ফের বেঙ্গালুরুতে দু’দিন ব্যাপী বৈঠক করতে চলেছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি৷ কিন্তু, সেই বৈঠকে কি থাকবে আপ? এই প্রশ্ন নিয়ে জলঘোলা চলছিলই৷ রবিবার এ বিষয়ে কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপালকে প্রশ্ন করা হলে, মেলে সেই অমোঘ উত্তর৷
বেণুগোপাল বলেন, ‘‘আমার মনে হয় ওরা (আপ) আগামিকাল বৈঠকে যোগদান করবে৷ অর্ডিন্যান্সের (দিল্লির আমলা নিয়ন্ত্রণ) বিষয়ে বলতে গেলে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট৷ আমরা একে সমর্থন করব না৷’’
আরও পড়ুন: ‘টাকা দিয়ে চাকরি কিনে কারা কাজ করছে?’, ED-CBI এর কাছে তালিকা তলব বিচারপতি অমৃতা সিনহার
এরপরেই এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেয় আপ শিবির৷ আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ রাঘব চড্ডা ট্যুইট করেন, ‘কংগ্রেস দিল্লি অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করবে বলে জানিয়েছে৷ এটা সত্যিই একটা ভাল কথা৷’ পরে আম আদমি পার্টির তরফে জানানো হয়, তাঁরা আগামিকাল থেকে বেঙ্গালুরুতে শুরু হওয়া বিরোধী শিবিরের বৈঠকে যোগ দিচ্ছে৷
অন্যদিকে, প্রবীণ বিরোধী জোটের মুখ কে হবে, তা নিয়েও এখনও জল্পনা চলছেই৷ এদিন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম বলেন, ‘‘বিরোধী জোটের নেতার বিষয়টি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হবে৷’’ তবে, বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়ে আপ যেভাবে দিল্লি অর্ডিন্যান্সের বিষয়টিকে ইস্যু করেছিল, সেটিও দুর্ভাগ্যজনক বলে মত চিদম্বরমের৷