প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরুর এই বৈঠকে হাজির রয়েছেন সনিয়া গান্ধি। গতকাল, সোমবারই ২৬ রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা একসঙ্গে বসেছিলেন। সেখানে তাঁরা পারস্পরিক আলোচনা সেরে নিয়েছেন। অন্যদিকে, সনিয়া গান্ধির ডাকা নৈশভোজেও শামিল হয়েছিলেন তাঁরা। এদিন বৈঠকের শুরুতে, বিজেপি বিরোধী জোটের মঞ্চের একটা নামকরণ করা হতে পারে। আবার একই সঙ্গে আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করে দেওয়া হতে পারে।
advertisement
এর পাশাপাশি আজকের বৈঠকে যা যা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা, সামনেই সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। সেই অধিবেশনে কোন কোন ইস্যুতে কেন্দ্রের শাসক দলকে চেপে ধরা যায়। এর মধ্যে মণিপুরের অশান্তি, মূল্যবৃদ্ধি যেমন রয়েছে। তেমনই আলোচনায় উঠে আসবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রসঙ্গ। কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূমিকা ও সাম্প্রতিক সময়ে মহারাষ্ট্রর উদাহরণ তুলে আনা হবে।
বিজেপি বিরোধিতায় সরব সব রাজনৈতিক দল লোকসভা ও বিধানসভায় এই বিষয়ে ফ্লোর কো-অর্ডিনেশন করতে পারে ৷ যেহেতু তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক সাংসদ আছে। তাই এই বিষয়ে তারা সরব হলে, বাকিরা রাজনৈতিক সমর্থন পাবে।
এই বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হওয়ার প্রভূত সম্ভাবনা ৷ একই সঙ্গে এখন থেকেই ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যে যৌথ মঞ্চের মাধ্যমে প্রচারের কাজ শুরুর পরিকল্পনা নেওয়া হতে পারে।
এর আগে ২০২১ সালে এই বিষয়ে একবার আলোচনার প্রস্তাব তৃণমূল কংগ্রেস দিলেও, তা নিয়ে সে অর্থে উচ্চবাচ্য হয়নি।
এছাড়া আসন বন্টন নিয়েও আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা এই বৈঠকে ৷ কংগ্রেসকে কোন কোন দল কোথায় আসন ছাড়বে, আর কংগ্রেস পাল্টা ছাড়বে তা নিয়েও হবে জোর আলোচনা।
বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে, কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন মমতা-অভিষেক। ফলে এই রাজ্যের মালদহ বা মুর্শিদাবাদ জেলায় কংগ্রেসকে আদৌ আসন ছাড়বে কিনা তৃণমূল, তা দীর্ঘ আলোচনা সাপেক্ষ। যার শুরু বেঙ্গালুরু থেকে হতে পারে।
অন্যদিকে জাতীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একাধিক রাজ্যে গিয়েছে তৃণমূল। এর মধ্যে মেঘালয়ে তাদের বিধায়ক আছে। লোকসভায় বাংলার পাল্টা মেঘালয়ে হবে কিনা সেটাও দেখার।
তবে কংগ্রেস নিয়ে এখনও একাধিক দলের মধ্যে সহজ সম্পর্কের বিষয় নেই ৷ তাই এক সুতোয় জোড়ার কাজ করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।