তিনি বলেছেন, ‘আমাদের বাহিনী এবং মোদি সরকার সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের হ্যান্ডলারদের কাছে একটি কড়া বার্তা পাঠিয়েছে। আমরা যে যন্ত্রণা সহ্য করেছি, ২৬টি পরিবার কী সহ্য করেছে, তা এখন সীমান্তের ওপারের লোকদের কাছে জানানো হয়েছে।’
advertisement
হামলার দিনের কথা মনে করিয়ে হিমাংশি বলেন, ‘আমি তাদের বলেছিলাম যে আমার বিয়ের মাত্র ছদিন হয়েছে। আমি তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলাম। কিন্তু জঙ্গিরা উত্তর দিয়েছিল, ‘মোদির কাছে এর জন্য অনুরোধ কর। এবং আজ, মোদিজি এবং আমাদের সেনাবাহিনী তাদের উত্তর দিয়েছে।’
হিমাংশির বক্তব্য, ‘আমার স্বামী নৌসেনা অফিসার ছিলেন। উনি শান্তি রক্ষা করতে চাইতেন। নিরপরাধদের প্রাণ বাঁচানোই তাঁর লক্ষ্য ছিল। ও চাইত, এই দেশে কোনও ঘৃণা ও জঙ্গিবাদ থাকবে না। আমি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ, কিন্তু আমি অনুরোধ করব এটা যেন এখানেই শেষ না হয়। আমি চাই এটা এই দেশে সন্ত্রাসবাদ শেষের শুরু হোক।’
স্ত্রী হিমাংশির সঙ্গে বিয়ের ৬ দিন পর মধুচন্দ্রিমায় কাশ্মীর গিয়েছিলেন বিনয় নরওয়াল। গত ২২ এপ্রিল দুপুরে জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাওঁয়ে সস্ত্রীক ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন নৌসেনার এই লেফটেন্যান্ট। হঠাৎ তাঁদের সামনে গিয়ে দাঁড়ায় জঙ্গিরা। ভাল করে কিছু বুঝে ওঠার আগেই চলে গুলি। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নৌসেনার অফিসার। সেই ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।