এই পরিস্থিতিতে রাজস্থানের কোটা শহরের এক তরুণী এগিয়ে এসেছেন প্রতারিতদের সাহায্য করতে। সাইবার এবং অনলাইন জালিয়াতির ঘটনা মোকাবিলায় সাহায্য করছেন তিনি। কোটার বাসিন্দা ঋদ্ধি সোরাল একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন যার মাধ্যমে তিনি সাইবার অপরাধীদের সনাক্ত করতে পারেন। এর ফলে যে শুধু প্রতারণার পরিমাণ কমানো যাচ্ছে তাই নয়, বরং খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার করতেও সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে।
advertisement
জানা গিয়েছে, ঋদ্ধির এই সংস্থা Oppo, Airtel, Biba, Himalaya-এর মতো সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছে। এখন তিনি তাঁর নিজস্ব সংস্থা (ASD Cybersecurity & Consultant) চালু করেছেন। এই সংস্থাটি অনেকাংশে অনলাইন জালিয়াতির ঘটনা প্রতিরোধে সহায়তা করে। শুধু তাই নয়, এখনও পর্যন্ত শতাধিক মানুষ ঋদ্ধির সাহায্যে টাকা ফেরত পেয়েছেন বলেও দাবি।
ঋদ্ধির দ্বারস্থ পুলিশও—
ঋদ্ধির দাবি, অনলাইন জালিয়াতির ঘটনাগুলি তাঁর ওয়েবসাইট http://ngcop.org-এর মাধ্যমে বন্ধ করা যেতে পারে। এর সাহায্যে জালিয়াতদের সনাক্ত করা সম্ভব। ফলে এই ওয়েবসাইটের সাহায্যে পুলিশ সহজেই অপরাধীকে ধরতে পারে। একই সঙ্গে, গ্রাহকও টাকা ফেরত পেতে পারেন। ঋদ্ধি অনলাইন জালিয়াতির বিষয়ে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ, এটিএস, কোটা পুলিশ, ভারতীয় রেলওয়ে এবং ব্যাঙ্ক-সহ অন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণও দিয়েছেন।
আর সেই প্রশিক্ষণে যে কাজও হয়েছে তা বোঝা যায় বিলক্ষণ। জানা গিয়েছে, ঋদ্ধির দ্বারস্থ হয়ে পুলিশ এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনের অ্যাকাউন্ট থেকে লোপাট হওয়া টাকা ফিরিয়ে দিতে পেরেছে।
তবে ঋদ্ধি জানাচ্ছেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা প্রচার করা আরও বেশি করে প্রয়োজন, যাতে টাকা খোওয়াতেই না হয়।