জানুয়ারি মাসে দেশজ ভ্যাকসিন এল। সেইসঙ্গে মানুষের মধ্যে অসতর্ক হওয়ার প্রবণতাও বাড়ল। করোনার প্রকোপ আবার বাড়তে শুরু করল। চলতি বছর ১১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে করোনা সংক্রমণের হার রোজ লাফিয়ে বেড়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি ৯৩৫৩ নতুন কেস সামনে এসেছিল। ২০ মার্চ যা বেড়ে ৪৩, ৮১৫ হয়ে গেল। অর্থাত্ ৩৬৮ শতাংশেরও বেশি বাড়ল সংক্রমণের হার। তা হলে কি আবার করোনার প্রকোপ ফিরে এল! তা হলে কি আবার প্রশাসনকে করোনা রোধে কড়া কোনও পদক্ষেপ করতে হবে! তা হয়তো এখনই বলা মুশকিল। এমনিতেই দেশের ছয় রাজ্যে ফের করোনার প্রকোপ বেড়েছে। এই ছয় রাজ্যে নাইট কার্ফু, আংশিক লকডাউন করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে প্রশাসন। কিন্তু লাভ হচ্ছে না।
advertisement
১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে কোভিড টীকাকরণ শুরু হয়েছে। সাড়ে চার কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে দেশবাসীকে। তবে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন মাত্র ৭৫ লাখ মানুষ। তবে ভ্যাকসিন আসার পরও কেন দেশে নতুন করে বাড়ছে করোনার প্রকোপ! চিকিত্সকদের একাংশ বলছেন, ভ্যাকসিন কোনও ওষুধ নয়. ইমিউনিটি বুস্টার। ৪০-৫০ কোটি মানুষ ভ্যাকসিন না পেলে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে না। ফলে ৫০ কোটি মানুষ ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে কোভিড প্রোটোকল সবাইকে মেনে চলতে হবে। এছাড়া আর কোনও উপায় নেই।