এই প্রকল্পের অধীনে সমাজের পিছিয়ে থাকা/প্রান্তিক ও দুর্বল শ্রেণির মানুষ ও আত্ম-সহায়ক গোষ্ঠীগুলিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে অংশগ্রহণের সময় ন্যূনতম রেজিস্ট্রেশন মাসুল-সহ ১৫ দিন থেকে ৩ মাস পর্যন্ত আবণ্টন করা হয়। স্বতন্ত্র শিল্পী, স্বতন্ত্র কারিগর, স্বতন্ত্র তাঁতি, উপজাতি, কৃষক, আত্ম-সহায়ক গোষ্ঠীর সদস্য, মহিলা আত্ম-সহায়ক গোষ্ঠীর সদস্য, পঞ্জীয়নভুক্ত মাইক্রো এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে যুক্ত সদস্য এবং সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত সদস্য, রাজ্য সরকারি সংস্থা, ইত্যাদি এই প্রকল্পের অধীনে সুবিধা লাভ করতে পারেন।
advertisement
উত্তর পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে অধিক্ষেত্রের অধীনে ৮৬টি রেলওয়ে স্টেশনে ১২২টি ওএসওপি আউটলেট সক্রিয় হয়ে রয়েছে।a আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ২৭টি স্টেশনে ৩৯টি, কাটিহার ডিভিশনের ১২টি স্টেশনে ২৬টি, লামডিং ডিভিশনের ১৫টি স্টেশনে ১৬টি, রঙিয়া ডিভিশনের ২০টি স্টেশনে ২৭টি ও তিনসুকিয়া ডিভিশনে ১২টি স্টেশনে ১৪টি ওএসওপি আউটলেট আছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্তের জেরে কলকাতার আকাশে ভোলবদল! বাড়বে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, আবহাওয়ার বড় খবর
সবগুলি স্টলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত স্বতন্ত্র ও অমূল্য সামগ্রীর বৈচিত্র্য প্রদর্শন ও বিপণন করা হচ্ছে। অসমের গুয়াহাটি, ডিব্রুগড়, নিউ তিনসুকিয়া, পশ্চিমবঙ্গের নিউ আলিপুরদুয়ার, নিউ জলপাইগুড়ির মতো কিছু প্রধান স্টেশন এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের অসমিয়া পিঠা, ঐতিহ্যবাহী অসমিয়া গামছা, ঐতিহ্যবাহী রাজবংশী পোশাক, ঝাপি, স্থানীয় বস্ত্র, পাটের সামগ্রী (টুপি, গামোছা, পুতুল), হস্ততাঁত, দার্জিলিং চা, স্থানীয়ভাবে তৈরি করা ডিজাইনার চুড়ি, গলার হার, কানের দুল, চুলের ক্লিপ ইত্যাদির পাশাপাশি স্থানীয় খাদ্য সামগ্রী যাত্রীদের আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।
এই স্কিমের পাইলট প্রকল্পের কাজ ২৫-০৩-২০২২ তারিখে শুরু হয়েছিল এবং বর্তমান পর্যন্ত দেশের ২১টি রাজ্য ও ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৭৮২টি স্টেশনে ৮৫০টি ওএসওপি আউটলেট অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।