TRENDING:

হিজবুল মুজাহিদিন শীর্ষ নেতা নাইকু নিকেশে ফের অশান্ত কাশ্মীর, সংঘর্ষে উপত্যকারবাসীর মৃত্যু

Last Updated:

বুধবার নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠীর এই শীর্ষ নেতাকে নিকেশ করে উপত্যকার নিরাপত্তা বাহিনী। তারপর থেকেই কাশ্মীরে আগুন জ্বলছে। রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী উপত্যকাবাসীর টার্গেট।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#পুলওয়ামাঃ হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ নেতা রিয়াজ নাইকুর মৃত্যুর খবরে ফের অশান্ত কাশ্মীর। বুধবার নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠীর এই শীর্ষ নেতাকে নিকেশ করে উপত্যকার নিরাপত্তা বাহিনী। তারপর থেকেই কাশ্মীরে আগুন জ্বলছে। রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী উপত্যকাবাসীর টার্গেট। নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করে শুরু হয়েছে ইটবৃষ্টি। ঝাঁকে-ঝাঁকে ইটবৃষ্টি শুধু নয়, বিক্ষোভের সময় বাহিনীর একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর ছালায় উত্তেজিত জনতা। এমনকি গাড়িগুলিতে আগুন জ্বলিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। বাধ্য হয়েই যৌথ বাহিনী পাল্টা আক্রমণ করলে মৃত্যু হয় এক উপত্যকাবাসীর।
advertisement

হিজবুল মুজাহিদিনের কম্যান্ডার বরুহান ওয়ানি এনকাউন্টারে নিহত হওয়ার পরেও  উপত্যকার চিত্রটা এরকমই ছিল। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, বড়মাপের কোনও জঙ্গিনেতা নিহত হলেই, বিক্ষোভের এই ছবি ফিরে আসে উপত্যকায়। কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের সংঘর্ষে অন্তত চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পাশাপাশি আরও ১২জন ইটের আঘাতে জখম হয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎস্যর জন্য।

advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘A++’ ক্যাটেগরির মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি রিয়াজ নাইকুকে খতম করতে 'অপারেশন জ্যাকবুট' চালান হয়। অত্যন্ত সংবেদনশীল এই অপারেশন চালানো হয় গোটা রাত ধরে। ভারতীয় সেনা ছাড়াও অপারেশন জ্যাকবুটে শামিল হয় কাশ্মীর পুলিশ ও কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর একটি যৌথ দল। নিহত নাইকুর মাথার দাম ছিল ১২ লক্ষ টাকা। জানা গিয়েছে, বিগত আট বছর ধরে হিজবুলের এই নেতাকে খুঁজছিল পুলিশ। সে এই কয়েক বছর জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলে অপারেশনাল চিফ ছিল। বুরহানের মৃত্যুর পর সংগঠনের ডি ফ্যাক্টো কমান্ডারও হয়ে ওঠে। কাশ্মীর পুলিশের বক্তব্য, পাকগুপ্তচর সংস্থা, আইএসআই-এর সঙ্গে এই জঙ্গিসংগঠনের যোগসূত্র ছিল নাইকু।

advertisement

সূত্রের খবর নাইকু খতমে 'অপারেশন জ্যাকবুট'-এর ছক কষে দিয়েছিলেন জাতীয় নিরপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। গত কয়েক মাসে পুলওয়ামা, কুলগম, অনন্তনাগ ও শোপিয়ানের মতো কয়েকটি জায়গায় জঙ্গি তত্‍‌পরতা বাড়ায়, বাধ্য হয়েই অভিযানের কথা ভাবতে হয় দোভালকে। এদিকে, এদিন উপত্যকাবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে যিনি মারা যান, হাসপাতালের সমস্ত কাজ মিটে যাওয়ার পর তাঁকে কবর দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কাশ্মীরের এই অবন্তীপুরাতেই বাড়ি রিয়াজের। অসুস্থ মাকে দেখতে মঙ্গলবার  বেগপোরা গ্রামে নিজের বাড়িতে আসে রিয়াজ। সঙ্গে ছিল আরও একদল জঙ্গি। অবন্তীপুরায় রিয়াজের আসার আগাম খবর ছিল সেনার কাছে। সেইমতো গতকাল রাতেই অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। রাত থেকেই শুরু হয় তুমুল গুলির লড়াই। সেখানেই প্রাণ হারায় নাইকু।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
হিজবুল মুজাহিদিন শীর্ষ নেতা নাইকু নিকেশে ফের অশান্ত কাশ্মীর, সংঘর্ষে উপত্যকারবাসীর মৃত্যু
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল