হিজবুল মুজাহিদিনের কম্যান্ডার বরুহান ওয়ানি এনকাউন্টারে নিহত হওয়ার পরেও উপত্যকার চিত্রটা এরকমই ছিল। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, বড়মাপের কোনও জঙ্গিনেতা নিহত হলেই, বিক্ষোভের এই ছবি ফিরে আসে উপত্যকায়। কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের সংঘর্ষে অন্তত চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পাশাপাশি আরও ১২জন ইটের আঘাতে জখম হয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎস্যর জন্য।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘A++’ ক্যাটেগরির মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি রিয়াজ নাইকুকে খতম করতে 'অপারেশন জ্যাকবুট' চালান হয়। অত্যন্ত সংবেদনশীল এই অপারেশন চালানো হয় গোটা রাত ধরে। ভারতীয় সেনা ছাড়াও অপারেশন জ্যাকবুটে শামিল হয় কাশ্মীর পুলিশ ও কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর একটি যৌথ দল। নিহত নাইকুর মাথার দাম ছিল ১২ লক্ষ টাকা। জানা গিয়েছে, বিগত আট বছর ধরে হিজবুলের এই নেতাকে খুঁজছিল পুলিশ। সে এই কয়েক বছর জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলে অপারেশনাল চিফ ছিল। বুরহানের মৃত্যুর পর সংগঠনের ডি ফ্যাক্টো কমান্ডারও হয়ে ওঠে। কাশ্মীর পুলিশের বক্তব্য, পাকগুপ্তচর সংস্থা, আইএসআই-এর সঙ্গে এই জঙ্গিসংগঠনের যোগসূত্র ছিল নাইকু।
সূত্রের খবর নাইকু খতমে 'অপারেশন জ্যাকবুট'-এর ছক কষে দিয়েছিলেন জাতীয় নিরপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। গত কয়েক মাসে পুলওয়ামা, কুলগম, অনন্তনাগ ও শোপিয়ানের মতো কয়েকটি জায়গায় জঙ্গি তত্পরতা বাড়ায়, বাধ্য হয়েই অভিযানের কথা ভাবতে হয় দোভালকে। এদিকে, এদিন উপত্যকাবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে যিনি মারা যান, হাসপাতালের সমস্ত কাজ মিটে যাওয়ার পর তাঁকে কবর দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কাশ্মীরের এই অবন্তীপুরাতেই বাড়ি রিয়াজের। অসুস্থ মাকে দেখতে মঙ্গলবার বেগপোরা গ্রামে নিজের বাড়িতে আসে রিয়াজ। সঙ্গে ছিল আরও একদল জঙ্গি। অবন্তীপুরায় রিয়াজের আসার আগাম খবর ছিল সেনার কাছে। সেইমতো গতকাল রাতেই অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। রাত থেকেই শুরু হয় তুমুল গুলির লড়াই। সেখানেই প্রাণ হারায় নাইকু।