কোরবা, ছত্তিসগঢ়: বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ করার দিকে নজর দিচ্ছে সরকার। প্রায় বিলুপ্ত বনের প্রাণীদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। আর সেই প্রক্রিয়া সাফল্য পায় যদি বনাঞ্চলে প্রাণীর সংখ্যা বৃদ্ধি হয়।
ময়াল সাপও এমনই একটি জীব যা, সংরক্ষণযোগ্য। বনাঞ্চলের জীববৈচিত্র্যের অন্যতম হল সাপ। আবার এদের মধ্যে অনেকেই বিলুপ্ত বা প্রায় বিলুপ্ত প্রজাতির মধ্যে পড়ে। তাই এদের সংরক্ষণ জরুরি। কিন্তু যদি জঙ্গলে ময়াল সাপের সংখ্যা বৃদ্ধি বন দফতরের জন্য সুখবর হয়, তাহলে প্রশাসনের জন্য তা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সংখ্যাধিক্য হওয়ায়, সেই সব সাপ হানা দিচ্ছে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে।
advertisement
আরও পড়ুন- নিরাপদ আর মজবুত গাড়ি চান! ফাইভস্টার রেটিং-সহ টাটা নেক্সন হতে পারে প্রথম পছন্দ
এমনই খবর শোনা গিয়েছে, ছত্তিসগঢ়ের কোরবার পাসরখেত রেঞ্জ এলাকায়। এমনিতেই কোরবার বনাঞ্চল জীব বৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। ওই এলাকাই এখন ময়াল সাপের স্থায়ী আবাসে পরিণত হয়েছে। এটাকে তো সুখবরই বলা যেতে পারে, অন্তত বনাঞ্চলের দিক থেকে দেখতে গেলে।
আরও পড়ুন- দীর্ঘ সময় ধরে আকাশপথের যাত্রা! এই সব ফ্লাইটে ধৈর্য হারিয়ে রীতিমতো হাঁপিয়ে ওঠেন যাত্রীরা
কিন্তু সমস্যা হল ওই রেঞ্জের আশপাশে বহু গ্রামে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে বিশালাকার ময়াল সাপ। গত রবিবারও সন্ধ্যার অন্ধকার প্রায় ১৪ ফুটের একটি দৈত্যাকার সাপকে দেখা যায় গ্রামের ভিতর। সেই সময় সাপটি বন থেকে বেরিয়ে এসে একটি গ্রামে ঢুকে পড়ে। তারপর সাপটি তরতর করে উঠে পড়ে একটি আমগাছে। গ্রামে সাপ ঢোকার খবর মুহূর্তের মধ্যে চাউর হয়ে যায়। আমগাছে সাপ দেখতে ভিড় জমান গ্রামের প্রায় সব বাসিন্দারাই।
কেউ কেউ সর্প দেবতা ভেবে পুজো করতে শুরু করেন, তো সেই সময়ই কেউ লাঠিসোঁটা খুজতে বেরোন। এদিকে সাপটিকে পিটিয়ে মারার পরিকল্পনা চলছে বুঝতে পেরে গ্রামের বাসিন্দাদেরই একাংশ খবর দেন বন বিভাগে।
এসডিও আশিস খেরওয়ারের নির্দেশে বিভাগীয় বন আধিকারিক অরবিন্দ পি ওই গ্রামে উপস্থিত হন। সাপটিকে অক্ষত উদ্ধার করতে পাঠানো হয় বিশেষ দলও। কিন্তু অত বড় সাপ ধরা কি মুখের কথা! তাই বন দফতরের প্রতিনিধি দল ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরিশ্রম করেন। অবশেষে রাতের দিকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয় বিশালাকার সাপটিকে। পরে বন দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে সাপটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
