রেলের যে তদন্ত রিপোর্ট নিউজ ১৮ বাংলার হাতে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে শুক্রবার সন্ধে ৬.৫৫ মিনিট নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে৷ সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বহং বাজার স্টেশনের আপ মেন লাইন ধরে যাওয়ার কথা ছিল ১২৮৪১ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের৷ ওই লাইনে ট্রেন যাওয়ার জন্য সবুজ সিগন্যাল দেওয়া ছিল। কিন্তু কোনওভাবে মেন লাইন ছেড়ে পাশের আপ লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির পিছনে গিয় তীব্র গতিতে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস৷ এই সংঘর্ষের জেরেই লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি৷
advertisement
রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওই একই সময় ডাউন লাইনে এসে পড়ে ১২৮৬৪ হাওড়াগামী ডাউন হমসফর এক্সপ্রেস৷ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের- লাইনচ্যুত হওয়া কামরার সঙ্গে ধাক্কা লেগে সেই হমসফর এক্সপ্রেসের দুটি বগিও লাইনচ্যুত হয়৷
যদিও ট্রেনের চালকের ভুল নাকি রেল লাইন, পয়েন্ট বা সিগন্যালের ত্রুটির জেরে এই দুর্ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ কারণ, রেলের প্রাথমিক রিপোর্টে তদন্তকারীরা লুপ লাইনের পয়েন্ট সেটিংয়ে কোনও গন্ডগোলের কথা উল্লেখ করেননি৷ এ দিন সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্তের পরই স্পষ্ট হবে৷
রেলের হাতে আসা তথ্যে আরও দেখা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার মুহূর্তে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের গতি ছিল ঘণ্টায় ১২৮ কিলোমিটার৷ অন্যদিকে হাওড়া গামী হমসফর এক্সপ্রেসও ঘণ্টায় প্রায় ১২৬ কিলোমিটার গতিতে ছুটছিল৷