দুর্ঘটনার পর এ দিন সকালেই ওড়িশার বালাসোরের হাসপাতাল এবং বহনঙ্গা স্টেশনের দুর্ঘটনাস্থলে ভিড় জমাচ্ছেন এ রাজ্যের বহু মানুষ৷ তাঁরা কেউ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, কেউ দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম. মালদহের মতো বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা৷ এঁদের প্রায় সবারই প্রিয়জনেরা করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন৷ অধিকাংশ যাত্রীই ছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক৷ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের স্লিপার বগিগলিই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড়ে ঠাসা ছিল এই বগিগুলি৷
advertisement
আরও পড়ুন: করমণ্ডল দুর্ঘটনায় শনিবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩৩, আহত ৯০০-র বেশি, চলছে উদ্ধারকাজ
এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলা থেকে বহু শ্রমিক করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন৷ আবার পশ্চিম মেদিনীপুেরর চন্দ্রকোণার বাসিন্দা বিজয় মণ্ডলের মতো অনেকেই দক্ষিণ ভারতে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার জন্য করমণ্ডল এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন৷
বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম জেলার কয়েকজন যাত্রীও ওই ট্রেনে ছিলেন বলে খবর৷ এঁদের মধ্যে অনেকেরই সকাল পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি৷ ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে এই যাত্রীদের অনেকেরই আত্মীয় সকালের মধ্যে ওড়িশায় পৌঁছেছেন৷ এ দিন সকালে অবশ্য করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রী চন্দ্রকোণার বাসিন্দা একই পরিবারের তিন ভাই বাড়ি ফিরে এসেছেন৷ প্রত্যেকেই দুর্ঘটনায় কমবেশি আহত হয়েছেন৷ চেন্নাইয়ে রং করার কাজে যাচ্ছিলেন তাঁরা৷
শুধুমাত্র সুন্দরবন এলাকারই অন্তত ১৬ জন বাসিন্দা ওই ট্রেনে ছিলেন বলে খবর৷ কাকদ্বীপের হারুউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার শ্রীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামনগরের বাসিন্দা হালিম মোল্লার (২৫) মৃত্যু হয়েছে। রাজমিস্ত্রির কাজে কেরলে যাচ্ছিলেন তিনি। হালিমের সঙ্গী আরও চারজন সরোয়ার মোল্লা, জহিরুদ্দিন মোল্লা, রফিক মোল্লা ও হাসিবুর মোল্লা গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন। জখমদের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকায় উদ্বিগ্ন পরিবারের লোকজনেরা। এঁরা একই পরিবারের সদস্য। অন্যদিকে মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌষট্টি বাড়ি মণ্ডলপাড়া এলাকার আরও ১১ জন বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে কেরলে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রত্যেকেই।