আপ মেন লাইনে যাওয়ার জন্য সিগন্যাল সবুজ হয়ে থাকলেও, পয়েন্ট অর্থাৎ যার মাধ্যমে ট্রেন লাইন-পরিবর্তন করে তার অভিমুখ খোলা ছিল লুপ লাইনের দিকে। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে প্রাথমিক তদন্তে এই তত্ত্ব উঠে আসতেই তোলপাড় হচ্ছে দেশ। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ-পশ্চিম রেলের প্রিন্সিপাল চিফ অপারেশন ম্যানেজার হরিশঙ্কর বর্মা দুর্ঘটনা নিয়ে সাবধান করার পরেও কীভাবে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ক্লাসরুমে থরে থরে লাশ, গড়াচ্ছে রক্তরস! স্কুলে ফিরতে ভয় বাহানাগার পড়ুয়াদের
হরিশঙ্কর বর্মার রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৮ ফেব্রুয়ারি মাইসুরু ডিভিশনে ১২৬৪৯ আপ সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস হোসদুর্গ স্টেশন ছাড়ার পরে আপ লাইনে যাওয়ার সিগন্যাল পান চালক। কিন্তু কিছুটা এগোতেই দেখতে পান, সিগন্যাল আপ লাইনে যাওয়ার জন্য সবুজ থাকলেও, পয়েন্ট ডাউন লাইনের দিকে খুলে রয়েছে। সে দিন সম্পর্কক্রান্তির চালক পয়েন্টের গন্ডগোল দেখেই ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে দেন। এ ক্ষেত্রে ট্রেনের গতিবেগ কম থাকা ও চালক সতর্ক থাকার কারণে সম্পর্কক্রান্তির ডাউন লাইনে যাওয়া আটকানো সম্ভব হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনায় রাজ্যের আহত-নিহতদের আর্থিক সাহায্য মমতার, বুধবার নেতাজি ইন্ডোরে ডাক
ঘটনাচক্রে, ওই লাইনে কয়েক মিনিট পরেই একটি মালগাড়ি আসার কথা ছিল। অর্থাৎ, সে দিন চালক সতর্ক না থাকলে, চার মাস আগেই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকত সারা দেশ। গত শুক্রবার লৌহ আকরিক বোঝাই করা মালগাড়িতে ধাক্কা লেগে যে ভয়াবহ দুর্ঘটনা এড়াতে পারল না করমণ্ডল এক্সপ্রেস। জানা গিয়েছে, লুপ লাইনে ঢোকার সময় করমণ্ডলের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২৮ কিমি, যা থাকার কথা ১৫-৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
আবীর ঘোষাল
