ঘটনার ৪ দিন পরেও সেখানে রয়ে গিয়েছে একাধিক দেহ। কোনওটি পচেগলে বিকৃত হয়ে গিয়েছে। কোনওটি এখনও শনাক্তকরণের অপেক্ষায় রয়েছে। স্কুলটি আপাতত পরিণত হয়েছে অস্থায়ী মর্গে। মেঝেয় শোওয়ানো রয়েছে সারি সারি মৃতদেহ। ওই স্কুলের এক ছাত্রের বক্তব্য, ‘স্কুলে দেহ নিয়ে যেতে দেখেছি। স্কুলের কথা ভাবলে গা ছমছম করছে।’
advertisement
আরও পড়ুন: ঘণ্টায় ১২৮ কিমি গতিবেগে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস, কিন্তু কেন? বিরাট রহস্য
১৮ জুন স্কুল খোলার কথা। স্কুল খুললে পড়ুয়ারা আসবে তো ক্লাসে? স্কুলের শিক্ষকদের মনে উঠতে শুরু করেছে এই প্রশ্ন। তাঁদের দাবি, পড়ুয়াদের মধ্যে একটা ভয় ভয় ভাব কাজ করছে। শুক্রবার দুর্ঘটনার পর থেকে টানা চলছে উদ্ধার কাজ। তাতে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় মানুষ থেকে শুরু করে পুলিশ, এনডিআরএফ, সেনা এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। আপনজনকে খুঁজে না পেয়ে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন দুর্ঘটনাস্থলে। কেউ আবার ছুটছেন বহানাগা স্কুলে।
আরও পড়ুন: ৪৬ বছরের করমণ্ডল চিকিৎসা থেকে পরিযায়ী এক্সপ্রেস, দুর্ঘটনায় কারও প্রাণ গেল, কারও কাজ!
বিস্মিত এলাকার বাসিন্দারা হতবাক হয়ে রয়েছেন, এ হাইস্কুল না শবগৃহ! যে ক্লাসরুমে পড়ুয়াদের আওয়াজ গমগম করে, সেখানেই এখন শশ্মানের স্তব্ধতা। আপনজনদের খোঁজে আত্মীয়দের আনাগোনা। বাহানাগা খেলার মাঠের অবস্থাও একই রকম। পচা মৃতদেহের গন্ধে নাকে রুমাল চাপা দিতে হচ্ছে। চাদর ঠেলে বেরিয়ে আসছে রক্তরস। স্কুলের কর্মচারীরা বলছেন, ‘এমন দৃশ্য দেখব তা জীবনে ভাবিনি।’