TRENDING:

পণ বেআইনি হলেও এই পাত্রের যৌতুকের দাবি শুনে অভিভূত হবেন

Last Updated:
impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#ভুবনেশ্বর: পণের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন, হত্যা প্রায় প্রতিদিনের সংবাদ শিরোনাম। আইন করে বিয়েতে পণ বাবদ টাকাপয়সা, যৌতুক নেওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেও লাভ হয়নি। এমন পরিস্থিতি খোলাখুলি পাত্রীপক্ষের সামনে পণের দাবি রেখেছেন ওড়িশার এক শিক্ষক, যা শুনে ঘেন্নায়-রাগে প্রতিবাদের বদলে অভিভূত হয়ে যাবেন আপনি। পেশায় শিক্ষক পাত্রের দাবি, তাঁর চাহিদা মেনে পণ দেওয়া না হলে বিয়েই করবেন না তিনি।
advertisement

গাড়ি, বাড়ি বা টাকাপয়সা নয়, পাত্রীপক্ষের কাছে বিয়ের যৌতুক হিসেবে ১০০১টি চারাগাছ চেয়েছেন ওড়িশার সরোজকান্ত বিশওয়াল। প্রকৃতিপ্রেমী, পরিবেশ সচেতন এই শিক্ষকের পণের দাবি এখন লোকের মুখে মুখে ফিরছে।

বিয়ের কথা পাকা হতেই পেশায় স্কুল শিক্ষিকা পাত্রী রশ্মিরেখা পাইতালা ও তাঁর পরিবারের সামনে নিজের দাবি পেশ করেন সরোজকান্ত। যৌতুকে চাই বিভিন্ন প্রজাতির, ফলের, ফুলের ১০০১টি গাছের চারা। সঙ্গে ছিল একাধিক শর্তের তালিকাও।

advertisement

আরও পড়ুন

শীঘ্রই ৩২০০ পদে কর্মী নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার, জেনে নিন বিস্তারিত

জাঁকজমক করে বিয়ে করতে চাননি সরোজ। পাত্রী পক্ষের সঙ্গে সঙ্গে নিজের পরিবারের কাছেও তাঁর আর্জি ছিল বিয়েতে যেন কোনও শব্দবাজি, ব্যান্ডপার্টির আয়োজন করা না হয়। কিন্তু এমন দাবি কেন? সরোজের মতে শব্দবাজিতে বাতাষে বিষাক্ত গ্যাসের পরিমাণ সাংঘাতিকভাবে বেড়ে যায়। পরিবেশ দূষণ রোধ করতেই তাঁর এমন প্রচেষ্টা। আর ১০০১টি চারার দাবি তো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবেই।

advertisement

সরোজের সমস্ত দাবি মেনেই শনিবার ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়ায় সম্পন্ন হয় সরোজকান্ত বিশওয়াল ও রশ্মিরেখা পাইতালার শুভ বিবাহ। উল্লেখ্য, শুধু শ্বশুরবাড়ির তরফ থেকেই গাছের চারা নয়, বিয়েতে উপস্থিত আত্মীয়-বন্ধু ও অতিথিদের থেকেও চারা গাছই উপহার চেয়েছিলেন এই প্রকৃতিপ্রেমী যুবক।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
পণ বেআইনি হলেও এই পাত্রের যৌতুকের দাবি শুনে অভিভূত হবেন