লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি ওড়িশায় বিধানসভাতেও ভোট হয়। বিধানসভায় ১৪৭টি আসনের মধ্যে ৯৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেডি। ২৮টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। কংগ্রেস মাত্র ১৫টি আসনে এগিয়ে। আপাতত যা ট্রেন্ড, তাতে গতবারের সাফল্য ধরে রাখতে চলেছে বিজেডি। চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন নবীন পট্টনায়েক। এবার ওড়িশা দখলে সর্বশক্তি দিয়েই ঝাঁপিয়েছিল গেরুয়া শিবির।
advertisement
তবে এই সমীকরণটা পুরোটাই রাজ্যের বিধানসভার ৷ তবে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের ক্ষেত্রেও রইল সেই পট্টনায়কের সমীকরণই ৷ বিধানসভা-লোকসভায় নবীন পট্টনায়কের বিজেডিতেই ভরসা করল ওড়িশার মানুষ ৷
ওড়িশায় বিজেডির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল বিজেপির ৷ লড়াই চলছিল বিজেডি ছেড়ে সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দেওয়া বৈজয়ন্ত পান্ডা, যিনি ২০০৯ ও ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেডি-র প্রার্থী হয়ে কেন্দ্রপাড়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে ছিলেন ৷ তবে এবারের ভোট গণনায় এই কেন্দ্রে পিছিয়ে পড়েন বৈজয়ন্ত ৷ এই কেন্দ্র থেকে এগিয়ে থাকেন বিজেডি-র অনুভব মোহান্তি ৷
ভোট গণনার শুরু থেকেই কোরপুটে এগিয়ে ছিল বিজেপি ৷ তবে শুধু কোরাপুটে নয়, ভুবনেশ্বর ও ঢেঙ্কানলেও বিজেপির অগ্রগতি ছিল চোখে পড়ার মতো ৷ তবে দিন এগোতেই ট্রেন্ড বদলে বিজেডি এগিয়ে গিয়েছিল পুরী লোকসভা কেন্দ্রে ৷ অন্যদিকে বিজেপির সম্বিত পাত্র পিছিয়ে পড়ে বেরহমপুর ও নবরঙ্গপুরে ৷
২০১৪ সালে বিজেপির আসন সংখ্যা কম থাকলেও বিজেপি রাজ্যে বিজেডির প্রধান চ্যালেঞ্জার হিসাবে উঠে আসতে পারে। ২০১৩ সালে বিজেডি ও বিজেপির মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ পার্থক্য ছিল। বিজেডি পেয়েছিল ৩৩.১৩ শতাংশ ভোট। আর বিজেপি পেয়েছিলি ৩০.২০ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস নেমে এসেছিল ২০ শতাংশে। ২০১৪ সালে ২১ আসনের মধ্যে বিজেডির দখলে ছিল ৯ টি আসন ৷ বিজেপির দখলে ছিল ৭ টি, কংগ্রেসের দখলে ছিল ৫ টি আসন ৷