বৃহস্পতিবার হাতে লেখা এই চিঠি এসে পৌঁছেছে নবীন নিবাসে। চিঠিতে স্পষ্ট ভাষায় অজ্ঞাতপরিচয় প্রেরক লিখেছেন, নবীন পট্টনায়ককে প্রাণে মেরে দেওয়া বা খুনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, চিঠিতে প্রেরক লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই ষড়যন্ত্রকারীরা সুপারি কিলার বা কন্ট্র্যাক্ট কিলার নিয়োগ করেছে। তাঁরা অত্যাধুনিক AK-47 এবং সেমি অটোমেটিক পিস্তল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গতিবিধির ওপর নজরদারি চালাচ্ছেন। ফলে যে কোনও সময় খুন হয়ে যেতে পারেন তিনি। চিঠিতে এ কথাও স্পষ্ট করা রয়েছে, যে সব কন্ট্রাক্ট কিলারদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁরা অত্যন্ত দক্ষ। ফলে যে কোনও মুহূর্তে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর ওপর হামলা করতে পারে।
advertisement
নবীন পট্টনায়কের বাসভবনে পাঠানো চিঠির বয়ানে লেখা রয়েছে, "খুনিরা যে কোনও সময় আপনার ওপর হামলা চালাতে পারে। আপনাকে যে কোনও সময় প্রাণে মেরে ফেলতে পারে। তাই দয়া করা আপনি খুব সাবধানে থাকুন যারা আপনার ওপর সর্বদা নজরদারি চালাচ্ছে তাদের থেকে। এই গোটা পরিকল্পনার মাস্টারমাইন্ড নাগপুরের। আপনাকে যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে খুনের ছক কষা হয়েছে, তা ওড়িশায় নিয়ে আসা হয়েছে।"
এ দিকে, রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, চিঠিতে অজ্ঞাতপরিচয় ১৭টি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন-সহ বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ করে দাবি করেছেন, সেই গাড়িগুলি সর্বদা ওড়িশার মুখ্যমন্তীর ওপর নজরদারি চালাচ্ছে। যে গাড়িগুলি ছত্তিসগড়, পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব, ওড়িশা, দিল্লি , হরিয়ানা, সিকিম এবং মহারাষ্ট্রের। এ দিকে, চিঠি পাওয়ার পরেই নড়েছর বসেছে ওড়িশা প্রশাসন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। এমন অবস্থা সেখানে মাছি গলার ফাঁক নেই। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের স্পেশ্যাল সিকিউরিটি সন্তোষ বালা, ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, ইন্টেলিজেন্স বিভাগের ডিরেক্টর-সহ কটক এবং ভুবনেশ্বরের পুলিশ কমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।