গুজরাটের তৃণমূল নেতা জিতেন্দ্র খাদয়তা নিউজ18-কে বলেন, ২১ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খেলা হবে দিবসের ডাক দিয়েছিলেন। আমরা এই দিনটি সাড়ম্বরে পালন করব করোনা বিধি মেনেই। ইতিমধ্যেই ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের ট্রফি ইতিমধ্যেই প্রস্তুত। খেলা হবে এখন জাতীয় স্লোগানে পরিণত হয়েছে।
বাংলা জয়ের পর এই তৃণমূল নেত্রী দলের সম্প্রসারণের ডাক দিয়েছিলেন। সেই ডাকে সাড়া মিলেছে গোটা দেশ থেকেই। গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরা, কেরল, তামিলনাড়ু সর্বত্রই কর্মীরা একজোট হচ্ছেন। ইতিমধ্যে শহিদ দিবস পালিত হয়েছে বেশ কয়েকটি রাজ্যে। আপাতত এই খেলা হবে দিবসকে সামনে রেখেই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পদধ্বনি আরো জোরালো করতে চাইছে তৃণমূল।
advertisement
খেলা হবে দিবস পালিত হচ্ছে উত্তরপ্রদেশেও। স্থানীয় তৃণমূল নেতা নীরজ নিউজ18-কে জানালেন, আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী দুটি দল ফুটবল খেলবে। দলদুটির নাম চন্দ্রশেখর আজাদ এবং আশাকুল্লাহ খান। পুলিশকে অনুমোদনের জন্য চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি।
তৃণমূলের এই তৎপরতাকে অবশ্য আমল দিতে রাজি নয় বিজেপি। তাদের দাবি এটি নিছকই তৃণমূলের প্রদর্শনকামিতা। বাস্তবে তারা কিছুই করতে পারবেনা। ১৬ আগস্ট নিয়ে জোরালো বিরোধিতা জানিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এই তৎপরতা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সর্বভারতীয় স্তরের পরিকল্পনা রোখা যাবে কিনা তা লাখ টাকার প্রশ্ন।
খেলা হবে দিবস নিয়ে তীব্র উত্তেজনা রয়েছে ত্রিপুরাতেও। এখনও ত্রিপুরায় পুলিশ ধরপাকড় চালাচ্ছে আক্রান্ত হচ্ছেন স্থানীয় কর্মীরা। কিন্তু নির্দিষ্ট পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত করতে ব্যাপক তৎপরতা রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাইছেন তাঁর এই শ্লোগান পৌঁছাক দিল্লির বিজেপি নেতাদের কানে। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, "১৬ অগাস্ট ১ লক্ষ ফুটবল বিতরণ করা হবে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে আমরা খেলব।" সেই তালিকা যোগী রাজ্য এবং গুজরাটের নাম শীর্ষে থাকাটা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল