যুব সমাজের ক্ষমতায়ন এবং বৃহৎ পরিসরে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সকাল ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশজুড়ে ৫১,০০০-এরও বেশি নবনিযুক্ত প্রার্থীদের মধ্যে নিয়োগপত্র বিতরণ করেন এবং তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। তিনি উল্লেখ করেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মসংস্থান উদ্যোগ ইতিমধ্যে লক্ষ লক্ষ যুবককে স্থায়ী চাকরি প্রদান করেছে, যারা এখন স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষা, শক্তি এবং পরিকাঠামো, গ্রামীণ এলাকা থেকে শুরু করে শহরাঞ্চল পর্যন্ত ভারতের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখছেন। নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাদের জনসেবায় আত্মনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেন, জোর দিয়ে বলেন যে ভূমিকা যাই হোক না কেন, মূল লক্ষ্য হল দেশ এবং তার নাগরিকদের সেবা করা। ভারতের গণতন্ত্র এবং জনসংখ্যার অনন্য শক্তির উপর জোর দিয়ে তিনি যুবসমাজকে দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসাবে বর্ণনা করেন, যাদের শক্তি এবং কণ্ঠস্বর বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত হচ্ছে।
advertisement
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে একবিংশ শতাব্দীতে কর্মসংস্থানের প্রবণতা বিকশিত হওয়ার সাথে সাথে ভারত একটি বিশ্বব্যাপী শক্তিশালি দেশ হয়ে উঠতে প্রস্তুত, যেখানে তার যুবসমাজ উদ্ভাবন, স্বনির্ভরতা এবং গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। রোজগারের এই ১৬তম মেলাটি একই সঙ্গে ভারত জুড়ে ৪৭টি স্থানে অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার মধ্যে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জোনের স্থানগুলিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। বিভিন্ন সরকারি বিভাগের জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মাধ্যমে মোট ৬২৫টি নিয়োগপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সুগম নিয়োগ এবং তরুণদের জন্য অর্থপূর্ণ ক্যারিয়ারের সুযোগের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।
গুয়াহাটিতে সর্বানন্দ সোনোয়াল, বন্দর, নৌপরিবহণ এবং জলপথের কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং বিজুলি কলিতা মেধি, সাংসদ, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তবের উপস্থিতিতে মালিগাঁওয়ের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সদর দপ্তরের রঙ ভবনে রোজগার মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশিষ্ট ব্যক্তিরা নবনিযুক্ত প্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন এবং সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, তাঁদের অভিনন্দন জানান এবং জাতির অগ্রগতিতে তাঁদের সক্রিয় অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করেন।
রোজগার মেলা উদ্যোগটি সরকারি চাকরিতে নিরাপদ এবং প্রভাবশালী ক্যারিয়ারের সঙ্গে যুবসমাজকে সংযুক্ত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে চলেছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এই ধরনের অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসংস্থান-ভিত্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতিতে অবিচল।